নন্দীগ্রামের ফল নিয়ে গতকালই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলছেন, "নোংরা খেলা খেলেছে। সব অফিসার আমায় বলেছে। আমি সুপ্রিম কোর্টে যাব।" পাশাপাশি তিনি এও বলছেন, "আমি নন্দীগ্রামের জন্যে লড়াই করেছি। যা রায় দিয়েছে আমি মেনে নেব।" যদিও এদিন মমতা বলেন, 'চার ঘণ্টা সার্ভার ডাউন, চল্লিশ মিনিট লোডশেডিং। অনেক মেশিন সরিয়েছে। আমরা তো আদালতে যাবই। পুনর্গণনা করতে এত ভয় কীসের?'
advertisement
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে গণনার শুরু থেকে পিছিয়ে ছিলেন মমতা। ১২ রাউন্ড গণনার শেষে অবশ্য ৪৬০০ ভোটে এগিয়ে যান তিনি। ১১ রাউন্ড থেকেই একটু একটু করে ব্যবধান বাড়াচ্ছিলেন তৃণমূলনেত্রী। কিন্তু এরপরই শুভেন্দু টক্কর নেওয়া শুরু করেন, ধীরেধীরে গোটা বিষয়টাই ধোঁয়াশায় পরিণত হয়। মমতা ১২০০ ভোটে জয়ী হয়েছেন বলে খবরও হয়ে যায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। শেষে ফের ফল বদলে যায়। ঘোষণা করা হয়, ১৭৬২ ভোটে জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাতেই পুনর্গণনার দাবি করে তৃণমূল। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
যদিও তার আগে মুখ্য নির্বাচনী অফিসার জানিয়েছিলেন, রিটার্নিং অফিসারের রিপোর্টে যদি পুনর্গণনার কথা বলা হয়, তাহলেই তা করা হবে। কিন্তু রাতেই কমিশন জানায়, পুনর্গণনা হবে না। আর মমতা এদিন রাত ১১টার একটি মেসেজ দেখিয়ে অভিযোগ করলেন, রিটার্নিং অফিসার পুনর্গণনার নির্দেশ দিলে তাঁকে খুন হতে পারে, সেই আশঙ্কা ছিল। ফলে বাংলার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেলেও নন্দীগ্রাম নিয়ে গনগনে আঁচ এখনও রয়েই গেল।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছিল মাননীয়াকে হাফ লাখ ভোটে হারাব। আর মমতা বলেছিলেন, এক পায়েই খেলা দেখাবেন। খেলা হল, তৃণমূলের সুনামি দেখল গোটা বাংলা। মমতা জিতুন বা হারুন, আপাতত সামনে শপথগ্রহণ।