মুখ্যমন্ত্রী আরও আশ্বস্ত করেছেন, ১২ লক্ষ উপভোক্তার টাকা মিটিয়ে দিলেও আরও ১৬ লক্ষ উপভোক্তার টাকা পাওনা থাকবে৷ ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সেই উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টেও টাকা পৌঁছে যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ যা ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম মাস্ট্রারস্ট্রোক হতে চলেছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের৷
আরও পড়ুন: যৌনপল্লিতে শ্যুটআউট, মৃত মহিলা, আহত নবম শ্রেণির ছাত্র! ভরসন্ধ্যায় আলিপুরদুয়ারে হাড় হিম করা ঘটনা
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘বাড়ি তৈরির টাকা দিতে গিয়ে রাজ্য সরকারের ১৪৭৭৩ কোটি টাকা খরচ হবে। উপভোক্তা বাছাইয়ের জন্য আমরা আবার সার্ভে করেছি। ২৭ হাজারের বেশি টিম প্রায় ৭ লক্ষ বাড়িতে গিয়েছে।২৮ লক্ষের বেশি উপভোক্তা আমরা চিহ্নিত করেছি। কেন্দ্র যদি টাকা না দেয় বাকি টাকাও ২০২৬-এর এর প্রথমে দিয়ে দেব। ১৬ লাখ বাকি থাকবে মে – জুন এর মধ্যে দিয়ে দেব ৮ লক্ষ কে, তারপর ডিসেম্বর – জানুয়ারির মধ্যে দিয়ে দেব বাকি ৮ লক্ষ উপভোক্তার টাকা মিটিয়ে দেব। এই বাবদ কেন্দ্রীয় সরকার কাছে ২৪ হাজার কোটি পাই।’
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, উপভোক্তাদের তালিকায় গরমিলের অভিযোগ তুলে টাকা আটকে রেখেছে৷ অথচ কেন্দ্রের পাঠানো সমীক্ষক দলকে সব নথি দেখানোর পরেও তাঁরা কোনও আপত্তি জানায়নি৷ তা সত্ত্বেও টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই তিন বছরে ৬৯ টা টিম পাঠিয়েছিল। যে দেখতে চেয়েছিল সবটাই দেখানো হয়েছে। ওরা মুখে বলে অভিযোগ আছে। তোমরা তো সার্ভে করেছো। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। তাহলে তোমরা কেন টিম পাঠালে?’
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ওবিসি স্কলারশিপ থেকে শুরু করে গ্রামীণ রাস্তা- একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রী এ দিনও দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের বকেয়ার পরিমাণ ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা৷