ইতিমধ্যেই রাজ্যে দুই দফায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু নানা আইনি জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেকটাই সময় লেগেছিল রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এর। সেইসব আইনি জটিলতা কাটিয়ে আবারো রাজ্যে প্রাথমিক টেট হতে চলেছে। বুধবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা তে এমন সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল। রাজ্য শেষবার প্রাথমিকের টেট নেওয়া হয়েছিল ২০১৫ সালে। সেই টেট ঘিরে একাধিক বিতর্ক থাকলেও তার ফলাফল ২০১৬ সালে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে রাজ্যে প্রাথমিকের টেট নেওয়া হয়নি। যদিও ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে টেট নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি ও করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই বিজ্ঞপ্তি জারি অনুযায়ী আড়াই লক্ষ আবেদনপত্র ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে। এতদিন ধরে প্রাথমিকের নেওয়া যায়নি তার কারণ হিসেবে মূলত জানা যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কত শূন্য পদ রয়েছে তার নির্দিষ্ট তথ্য তৈরি না হওয়ার জেরেই টেট নেওয়া সম্ভব হয়নি বলেই খবর।
advertisement
সূত্রের খবর এই মুহুর্তে রাজ্যে প্রাথমিক স্কুল গুলিতে ৩০ হাজারেরও বেশি শূন্য পদ রয়েছে। সেক্ষেত্রে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন এর নিয়ম মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া করবে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বলেই জানা গেছে। মূলত প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে এনসিটিই। এনসিটির নিয়ম মেনেই নিয়োগ করবে রাজ্য। সূত্রের খবর সে ক্ষেত্রে ইচ্ছুক প্রার্থীদের জন্য আবারো রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেওয়া হতে পারে। যদিও এই বিষয় নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর প্রায় তিন বছরের মাথাতেই প্রাথমিক টেট হওয়াতে স্বভাবতই খুশি আবেদনকারীরা।