এদিনই বিধানসভায় ১৮৫ রুল অনুযায়ী বঙ্গভঙ্গের প্রচেষ্টার বিষয়ে প্রস্তাব পেশ করা হয়। অধিবেশনেই শুভেন্দু বলেন, ”অনন্ত মহারাজের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। আমার প্রস্তাব অখন্ড পশ্চিমবঙ্গ, অবিভক্ত পশ্চিমবঙ্গ উন্নয়ন নিয়ে প্রস্তাব আনুন। আমরা সহমত পোষণ করব।”এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”এটা সংবেদনশীল বিষয়। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে যোগ করার কথা বলব। পশ্চিমবঙ্গ এক থাকবে। আমরা ভাঙতে দেব না। এটা হাউজের স্বার্থে করা হোক।”
advertisement
আরও পড়ুন: ফের ট্রেনে আতঙ্ক! এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন, গল গল করে বেরোচ্ছে ধোঁয়া, বীরভূমে ভয়ঙ্কর কাণ্ড
এরপরই মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় চলে যান বিরোধী দলনেতার কাছে। এরপরই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন মমতা। বলেন, ”বিরোধিতা করব বলে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করব কেন। আমি দেশ ও রাজ্য দুটোই ভালোবাসি। শোভনদেবদা-কে বলব, শুভেন্দু যা বলেছেন, সেটা যুক্ত করুন।”
অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমার মনে হয়েছে আজ হাউসে সংসদীয় রীতিনীতি মেনে সম্পূর্ণ আলোচনা হয়েছে। অবিভক্ত পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে আমরা সবাই অঙ্গীকার বদ্ধ।’’ শুভেন্দু অধিকারীর কথা যোগ করে ফের বিকল্প প্রস্তাব পাঠ হল বিধানসভায়। সৌজন্যের বিরল দৃশ্য এদিনের বিধানসভায়।
আরও পড়ুন: শুধু মিষ্টি আর আলু নয়, ছাড়তে হবে এই ৩ খাবারও! নাহলেই বড় বিপদ, ডায়াবেটিস রোগীরা খুব সাবধান
মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে এদিন উঠে আসে নীতি আয়োগের বৈঠকের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ”এই সুযোগে আমি একটা কথা বলতে চাই। কিছুদিন আগে আমি নীতি আয়োগের বৈঠকে গিয়েছিলাম। বিরোধী দলগুলোর মধ্যে আমি আমি একা ছিলাম। আমি সেখানে কন্সট্রাকটিভ কথা বলেছি। আমি আজও বলছি, আমি কাউকে বঞ্চিত করিনি। পরিকাঠামো উন্নয়নে বাংলা অনেক এগিয়ে আছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাসের টাকা যা আটকে আছে, সেটাও বাংলা পাক। আমরা মনে করি বিভেদ নয়, বিচ্ছেদ নয়। সবাই এক থাকুক। আমরা একতার পক্ষে।”