মোদি লিখেছেন, "বাঙালি ও ভারতীয়ের সাহিত্যে অবদানের জন্য শ্রী শঙ্খ ঘোষকে মানুষ মনে রাখবে। ওঁর কাজ অসংখ্য মানুষ পড়েছেন এবং মুগ্ধ হয়েছেন। ওঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। ওঁর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য সমবেদনা রইল। ওঁ শান্তি।"
সভা থেকে মমতা বলেছেন, "শঙ্খবাবু যাদবপুর, দিল্লি ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপনা করেছেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ বাবরের প্রার্থনা, মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে, ওকাম্পোর রবীন্দ্রনাথ, ধূম লেগেছে হৃদকমলে, এ আমির আবরণ। জ্ঞানপীঠ, পদ্মভূষণ, দেশিকোত্তম, সাহিত্য অকাদেমি, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারসহ অজস্র সম্মানে তিনি ভূষিত হয়েছেন। শঙ্খবাবুর সঙ্গে আমার অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রয়াণে সাহিত্য জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি প্রয়াত শঙ্খ ঘোষের আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।"
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন শঙ্খ ঘোষ। করোনার দিনগুলিতে চিকিৎসা চলছিল বাড়িতেই। এপ্রিলের ১১ তারিখ সামান্য জ্বর আসায় করোনা পরীক্ষা করানো হয়। দেখা যায় রিপোর্ট পজিটিভ। কিন্তু বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থায় অবনতি হয়। বুধবার সকালে ভেন্টিলেটারে দেওয়া হলেও সমস্ত প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়। ১১টা নাগাদ ভেন্টিলেটর খুলে দেন চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, কবিতাই ছিল তাঁর প্রতিবাদের মাধ্যম। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনেরও তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। সেই ক্ষুরধার কলম আজ 'শব্দহীন' হয়ে গেল।