এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পুজোয় কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়। পুজো কমার্শিয়াল নয়। এটা সামাজিক উৎসব। সরকার এদের থেকে আয়কর চাইতে পারে না। এরা সমাজকে আনন্দ দেয় এবং ধর্মীয় রীতি পালন করে। তাতে আয়কর দিতে যাবে কেন? এ তো মানুষের ট্যাক্সে পুজো। মানুষ তো ট্যাক্স দেয়, তারাই চাঁদা দেয়। একটা মানুষ কত বার ইনকাম ট্যাক্স দেবে? স্পনসর করা কোম্পানিও ইনকাম ট্যাক্স দেয়।’
advertisement
সোমবার, বিদ্রোহের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সুরেই সরব কলকাতার বিভিন্ন পুজো কমিটি। আপত্তি জানালেন দুর্গাপুজোয় আয়করে। কালীঘাট ৬৬ পল্লির সভাপতি রজত সেনগুপ্ত বলেন, ‘পুজোয় আবার আইটি! এরকম তো কোনও দিন শুনিনি। আমরা তো মাত্র চার দিন পুজো করি। যেখানে প্রতিদিন পুজো হয়, সেখানে ট্যাক্স বসাক। আগে মহারাষ্ট্রে গণেশ পুজোয় ট্যাক্স বসাক। আয় তো কিছু হয় না, তা হলে কর দেব কেন? পুজো নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে ৷’
ঠাকুর তৈরি করে অনেকের সারা বছরের ভাত জোটে। পরিশ্রমের ঘামের সঙ্গে মেশে শিল্পীর কল্পনা, আবেগের অলঙ্কার। সেখানেও কি এবার আয়কর দফতরের থাবা? অনেক পুজো কমিটি আবার ভয় পাচ্ছে। তাঁদের মনে প্রশ্ন, আয়কর দফতর চাপ দিলে কি আর আপত্তি টিকবে? তাদের কথা না শুনলে তো ব্যবস্থা নিতে পারে।
ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতিকে হাতিয়ার করে এবার বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোকে টার্গেট করেছে বিজেপি। তারা চাইছে, দুর্গোৎসবকে অস্ত্র করে জনসংযোগ বাড়াতে। পাড়ার পাড়ার ক্লাবে ঢুকে পড়তে। গেরুয়া শিবিরের গায়ে বাঙালি সংস্কৃতি বিরোধী যে তকমা সেঁটে দিতে চাইছে তৃণমূল, এভাবে তারও জবাব দেওয়া যাবে। পালটা কৌশলী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও সর্বজনীন দুর্গাপুজোয় আয়কর ইস্যুকে হাতিয়ার করেই সুর চড়াচ্ছেন। তাঁর বিদ্রোহের সুরেই সরব হচ্ছে বিভিন্ন পুজো কমিটিও।