মার্চের মধ্যে ৭০ কিলোমিটারের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ করার জন্য জমি অধিগ্রহণের কথা বলা হলেও তার আগেই গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ করে দিতে চাইছে নবান্ন। তার জন্যই জেলাগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের শীর্ষ মহলের তরফে। এমনটাই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: শুভ কাজের আগে কেন 'দই-চিনি' খাওয়ার প্রচলন জানেন? আসল কারণ জানলে চমকে যাবেন!
advertisement
গত শনিবারই পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহা আন্তর্জাতিক সীমান্ত রক্ষা নিয়ে বিএসএফের পাশাপাশি রাজ্যগুলিরও যে সমান দায়িত্ব রয়েছে তা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর সেই বৈঠকের পরপরই জেলাগুলির তরফে জমি অধিগ্রহণ এর কাজের জন্য বিশেষ তৎপরতা শুরু করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত আর্ন্তজাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে জমি অধিগ্রহণের কাজ মার্চের মধ্যেই শেষ করতে রাজ্যকে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে কেন্দ্র।
গত সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা ভার্চুয়াল বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদীকেকে এই আর্জি জানান। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়েই এই কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ার কাজ হচ্ছে। ২৫৭ কিলোমিটার জুড়ে আর্ন্তজাতিক সীমান্তে ১৮৬ কিলোমিটার কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ার জমি মিললেও ৭০ কিলোমিটারের কাজে এগোচ্ছে না জমি না পাওয়ায়।রাজ্যকে এই জমি অধিগ্রহণ করে দিতে হবে।
নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়েই এই বৈঠক হয় গত সোমবার। ভারত - বাংলাদেশ সীমানা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজটি দ্রুত সম্পন্ন হোক, তার উপরও কেন্দ্রের তরফে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে আগামী মার্চের মধ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজটি শেষ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।এছাড়া সীমান্তে চোরা চালান, অনুপ্রবেশ ইত্যাদি রুখতে বি এস এফের ভূমিকা ও দায় দ্বায়িত্বের বিষয়েও মত বিনিময় হয়। উল্লেখ্য, শনিবার ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক হয়। নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠক হয়। এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়েও বিশেষ আলোচনা হয়। চোরাচালান-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে সীমান্তের নজরদারি বাড়ানোর পক্ষেও সওয়াল করা হয় শনিবারের বৈঠকে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়