এদিন এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি। হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী… বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর প্রয়াণ দিবসে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম। একটা কথা লিখি। সম্প্রতি একটি হিন্দি ছবিতে বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে ‘সিং’ বলা হয়েছে। স্বাধীনতার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের অপমান করা হচ্ছে কেন? পথিকৃৎ অমর বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে ধরেও টানাটানি করবে ভাষা-সন্ত্রাসীরা? আমাদের মেদিনীপুরের অদম্য কিশোরকে দেখানো হয়েছে পঞ্জাবের ছেলে হিসেবে। অসহ্য! আমরা কিন্তু সবসময় দেশপ্রেম ও সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের প্রতীক এই মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্মৃতি বিজড়িত মহাবনী ও সংলগ্ন অঞ্চলের আরো বেশি উন্নয়নের জন্য মহাবনী ডেভেলপমেন্ট অথরিটি করেছি। এছাড়া মহাবনীতে শহীদ ক্ষুদিরামের মূর্তি স্থাপন থেকে শুরু করে পাঠাগার সংস্কার, নতুন একটি সুবিশাল অডিটোরিয়াম, কনফারেন্স রুম – সবই করা হয়েছে। একটি মুক্তমঞ্চও করা হয়েছে। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য নির্মিত হয়েছে আধুনিক কটেজ, ঐতিহ্যবাহী ক্ষুদিরাম পার্কের পুনরুজ্জীবন করা হয়েছে। পুরো এলাকাটাকে আলো দিয়ে সাজানোও হয়েছে। শুধু তাঁর জন্মস্থান মেদিনীপুরেই নয়, এই মহান বিপ্লবীকে শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতায় একটি মেট্রো স্টেশনের নামও আমরা ওনার নামে রেখেছি। আমরা গর্বিত।”
advertisement
প্রসঙ্গত, মোদি সরকারকে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ‘বাঙালি-বিরোধী’ বলে কটাক্ষ করেছে এ রাজ্যের শাসকদল। রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর শুক্রবার ফের বলেছেন, ‘জাগরিত হোক সেই দেশ, যেখানে রবীন্দ্রনাথের ভাষা— বাংলা ভাষা সম্মান, মর্যাদা ও সকল দেশবাসীর ভালবাসা পায়। বিকশিত হোক সেই দেশ, যেখানে ভাষা-সন্ত্রাস থাকবে না।’ এদিন কার্যত সেই একই সুরে কথা বললেন তিনি। বিজেপি-শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বাংলার রাজনীতিতে চড়া সুর অব্যাহত। ফের ‘ভাষা-সন্ত্রাস’ মুক্ত দেশ গড়ার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।