ভবানীপুর উপনির্বাচনের শুরু থেকেই একে ভারত জয়ের শুরু বলে প্রচার করেছিল তৃণমূল। এদিন বিপুল জয়ের পর সেই ভাবনারই প্রতিফলন দেখা দেয় তৃণমূল নেত্রীর গলায়। তিনি বলেন, 'ভবানীপুরের ভোট পার্সেন্টেজ ৪৪ শতাংশ অবাঙালি। সমস্ত ভাষাভাষীর মানুষ আছেন এখানে। সকলে শান্তিতে ভোট দিয়েছেন। আমার মন ভরে গেছে, ভবানীপুরের মানুষ দেখিয়ে দিল, সারা বাংলা তাকিয়ে ছিল। বাংলা আঘাত পেয়েছিল নন্দীগ্রামের ফলাফলে। অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। সব চক্রান্তকে জব্দ করে দিয়েছেন ভবানীপুরের মানুষ। আরও কাজ নতুন করে করব। আমরা চিরঋণী। আমরা সকলে তাঁদের মনে রাখব।'
advertisement
তবে, এদিন তিনি ভিকট্রি সাইন দেখাননি। বরং ভবানীপুর ছাড়াও জঙ্গিপুর-সামশেরগঞ্জের ভোটের ফলপ্রকাশের বিষয়টিও উল্লেখ করে তিনি বলেন, ''আমি ভি দেখাব না, আমি তিন দেখাব। তিনটে সিটে লড়াই করেছি। তিনটে সিটেই আমরা জিতছি। বাংলাই ভারতকে পথ দেখাবে।''
আরও পড়ুন: ভেঙে গেল ২০১১-এর বিরাট রেকর্ডও, ভবানীপুর জয়ী মমতা! ভারত দখলের যাত্রা শুরু...
প্রসঙ্গত, সীমানা পুনর্বিন্যাসের পর ২০১১ সালে ফের ভবানীপুর (Bhabanipur) কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়েছিল৷ ৩৪ বছরের বাম শাসনের পর তৃণমূলের রাজ্যে ক্ষমতা দখলের সময় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রথমে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত বক্সী৷ সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী হলেও এ বারের মতোই ২০২১ সালেও তাঁকে ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে লড়তে হয়েছিল৷ কারণ তখন তিনি সাংসদ ছিলেন৷ ফলে সুব্রত বক্সী ইস্তফা দেওয়ার পর ভবানীপুর থেকে লড়ে জিতে আসেন মমতা৷ এরপর এবার সেই উপনির্বাচনের পথেই হাঁটল ভবানীপুর। আর তাতেই রেকর্ড মার্জিনে জিতলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবারের ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেলেন মোট ৮৪৭০৯ ভোট, বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ২৬৩২০ ভোট। সিপিআইএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস পেয়েছেন ৪২০১ ভোট।