মাঝেরহাটের ব্রিজ ভাঙার পর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উঠে আসে একের পর এক তথ্য ৷ তার মধ্যেই উঠে এল ২০টি উড়ালপুলের ঘটনা ৷ রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামতি ছাড়াও একাধিক ইস্যুতে লাল সতর্কতা জারি হল এই ২০টি উড়ালপুলে ৷ অত্যাধিক ভার বহনেই ক্ষমতা কমছে ব্রিজের । যার ফলে যেকোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা ৷ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই নতুন নির্দেশিকা তৈরি করল রাজ্য সরকার ৷ রাজ্য জুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হল ২০ চাকার যান চলাচল ৷ যার প্রভাব পড়তে পারে বাজারে ৷ কারণ জাতীয় সড়কে আটকে রয়েছে ভারী যান । লম্বা লাইনের যানজটে আটকে ছোট লরিও । হুগলি থেকে কলকাতায় আসছে না আলু । কাঁচা সবজি, মাছ নষ্টের আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা । যার জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া হতে পারে ৷
advertisement
আরও পড়ুন: আমডাঙায় মাঠ খুঁড়তেই মুড়ি মুড়কির মত মিলল বোমা, গ্রামে ঢুকতে বাধা অধীর চৌধুরিকে
শিয়ালদহ থেকে রাসবিহারী ৷ উল্টোডাঙা থেকে বেলগাছিয়া ৷ শহরের একাধিক সেতুর বয়স কোন চার ৷ কিংবা কোনওটি পাঁচ দশক বা তারও বেশি পুরনো ৷ এই তালিকায় রয়েছে ঢাকুড়িয়া, চিংড়িহাটা, সাঁতরাগাছি ব্রিজও ৷ ব্রিজের কোথাও মরচে পড়েছে ৷ আবার কোথাও বেরিয়ে এসেছে লোহার চাঙর ৷ এমনকী, বেশ কয়েকটি সেতুতে চওড়া ফাটলও চোখে পড়েছে ৷
ব্রিজ মেরামতির ক্ষেত্রে অনেক সময়ই বাধার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে । কখনও সেখানে ঝুপড়ি বেঁধে বেশ কিছু মানুষ থাকতে শুরু করেছেন ৷ আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিক্রেতাদের সরানো যাচ্ছে না ব্রিজ থেকে ৷ এমন ঘটনায় স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতা করার আবেদনও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতিই আপাতত রাজ্যের অগ্রাধিকার । জোড়াতাপ্পি দিয়ে মেরামতি নয় ৷ বরং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ হবে শহরের ব্রিজগুলোর । যাত্রী সুরক্ষায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, তা নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন ।