এন এইচ এ আইয়ের আধিকারিকদের বক্তব্য, মেট্রোর কাজের জন্যে ক্রমাগত জল পড়ছে রাস্তার ওপরে। প্রতিদিন এই অংশ দিয়ে প্রচুর ভারী গাড়ি চলাচল করে। ফলে রাস্তা খারাপ হচ্ছে দ্রুত। আপাতত মেট্রো নির্মাণ সংস্থাকে জানানো হয়েছে সাবওয়ের ছাদের অংশ মেরামত করতে। এদিন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিকের উপস্থিতিতে সাবওয়ের মধ্যে থাকা রাস্তার পিচ পুরোপুরি তুলে ফেলা হচ্ছে। আজ বিকেল থেকেই শুরু হবে পিচ রাস্তার কাজ। আগামী দিনে এই রাস্তাও কংক্রিটের পুরোপুরি করা হবে।
advertisement
এন এইচ এ আই'য়ের প্রজেক্ট ডিরেক্টর স্বপন মল্লিক জানিয়েছেন, "মেট্রোর কাজ যারা করছে তাদেরকে আমরা রাস্তার অবস্থার কথা বলেছি। তাদের কাজের জন্য জল লিক করে ক্রমাগত এই রাস্তায় পড়ে চলেছে। এর পাশাপাশি প্রচুর ভারী গাড়ি এখান দিয়ে যাতায়াত করছে। যেহেতু জল বিটুমিনের প্রধান শত্রু তাই এই রাস্তা আরও দ্রুত ভেঙে গেছে।"
ইতিমধ্যেই মেট্রো নির্মাণকারী সংস্থার ব্যক্তিদের ডেকে রাস্তার অবস্থা দেখিয়েছে এন এইচ এ আই। তবে বিমানবন্দরের কাছে রাস্তার যে অংশ খারাপ হয়েছিল সেখানে কাজ এখনও শুরু হয়নি। শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানাচ্ছে এন এইচ এ আই। বর্ষার শুরুতেই বেহাল বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর ও দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে রাস্তার একাধিক অংশ। রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে প্রায়শই ঘটছে দূর্ঘটনা। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
রাস্তা মেরামতির কাজ দ্রুত শুরু করার দাবি তাদের। দক্ষিণেশ্বর থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার সময়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগকারী উড়ালপুলের আগে ও সাবওয়ে জুড়ে রাস্তার অবস্থা ভীষণ খারাপ। ছোট-বড় নানা গর্ত তৈরি হয়েছে। যার ফলে জমা জলে একদিকে যেমন বাড়ছে দূর্ঘটনা। তেমনি গতি হারাচ্ছে এক্সপ্রেসওয়ে। স্থানীয় বাসিন্দা সুদীপ্ত সাহা জানাচ্ছেন, "একটা অংশে কাজ শুরু হল এটা ভালো উদ্যোগ। আশা করি বাকি রাস্তাও মেরামত করা হবে।" নিত্যদিন, যান যন্ত্রণা বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে তৈরি হচ্ছে। দক্ষিণেশ্বর থেকে বিমানবন্দরগামী রাস্তায় প্রতিদিন খারাপ হয়ে যায় একাধিক পণ্যবাহী গাড়ি। আর তার জেরে বরানগর থেকে বিমানবন্দর অবধি আসতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয় সাধারণ মানুষকে।
যাত্রীদের অভিযোগ, আগে রাস্তা খারাপ। তার মধ্যে দিনের অধিকাংশ সময়েই এই রাস্তা দিয়ে পণ্যবাহী লরি চলাচল করে। খারাপ রাস্তায় প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে তার জেরে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা ও যারা নিত্যদিন যারা যাতায়াত করেন তাদের।অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে। বিমানবন্দরের সাথে দক্ষিণেশ্বর যুক্ত হয়েছে এই এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে। আদপে এটি জাতীয় সড়কের অন্তর্ভুক্ত হলেও এখন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ হোক বা শিলিগুড়ি, আসামের গাড়ি যাতায়াত করে এই এক্সপ্রেসওয়ে ধরে। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার হাল বেহাল হওয়ায় চূড়ান্ত অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সকলকে।
দক্ষিণেশ্বর থেকে বিমানবন্দরগামী রাস্তায় বরানগর মেট্রো স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। যার জেরে এই রাস্তার ওপরে দিনের অধিকাংশ সময়েই বড় বড় গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। ভারী যন্ত্রপাতির গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার কারণে গাড়ির গতি শ্লথ করে যেতে হয়। একটি লেনের একদিকের অংশ আটকে থাকে। এই রাস্তার ওপরে প্রায় ২ কিমি অংশ নানা জায়গায় খানা খন্দে ভরে আছে। অন্যদিকে মাঠকলের কাছ থেকে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে থাকা বিমানবন্দর সেতুর আগে অবধিও রাস্তার হাল বেহাল হয়ে পড়ে আছে। ঠিক বিপরীত দিকের লেনে বরানগর স্টেশনের কাছে যে সাবওয়ে আছে সেখানেও তৈরি হয়ে আছে একাধিক খানা খন্দ। রাস্তায় একাধিক বড় বড় খন্দ তৈরি হয়ে গেছে। আর এখানেই প্রতিদিন গাড়ির যন্ত্রাংশ ভাঙছে। ফলে নিত্যদিন রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকছে। যথাসময়ে ক্রেন না থাকার কারণে সেই গাড়ি সরাতেও যথেষ্ট সময় লাগে। ফলে নিত্যদিন যানজটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে সকলকে। এই অবস্থার কবে বদল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। শীঘ্রই প্যাচ ওয়ার্ক শুরু করা হবে। বর্ষা চলে গেলে পুরো রাস্তার কাজ হবে। রাস্তা হবে কংক্রিটের। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এন এইচ এ আই।