TRENDING:

রহস্যে মোড়া কওসর আলি ঢালির নিউটাউনের খামার

Last Updated:

রহস্যে মোড়া মরা মুরগির কারবারের মূল পান্ডা কওসর আলি ঢালির নিউটাউনের খামার

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: প্রায় একমাস ধরে পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি শেষ। অবশেষে গ্রেফতার মরা মুরগির কারবারের মূল পান্ডা কওসর আলি ঢালি। কওসরের স্ত্রীর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনে নজর রাখছিল পুলিশ। হাসনাবাদের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার কওসর আলি ঢালি।
advertisement

এ যেন পুরো সিনেমার চিত্রনাট্য! রহস্যে মোড়া নিউটাউনের ন’পাড়ায় কওসরের খামার। খামারের দেওয়ালে সাঁটানো একটি বিজ্ঞপ্তি--‘ম্যানেজ’ করতে পারলে ১০০ টাকা ইনাম! কিন্তু, কাদের ও কীভাবে ‘ম্যানেজ’ করা হত? খামারে তল্লাসি চালিয়ে জানা যায়, মরা মুরগি কাটিংয়ের দায়িত্বে ছিল ৪ জন। বোনলেস মুরগি সরবরাহের দায়িত্বে ৩ জন। মরা মুরগি পাঠাবার দায়িত্বে ছিল ৪ জন। খামারে কাজ করত মোট ২২ জন কর্মী। তাঁদের নামের তালিকা ও মোবাইল নম্বর সাঁটানো রয়েছে দেওয়ালে। মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করছে পুলিশ।

advertisement

খামারে  কওসর আলি ঢালির জন্য রয়েছে আলাদা ঘর। তাঁর ঘরে অনুমতি ছাড়া প্রবেশে ‘না’! ঘরে ছড়িয়ে বহু ক্যাশমেমো, ভিজিটিং কার্ড! জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা থেকেও আনা হত মরা মুরগি। নিউটাউনের খামারের ফ্রিজারে সেই মাংস রাখা হত। বিভিন্ন দোকান ও বাজারে কম দামে বিক্রি হত মরা মুরগির মাংস!

আরও পড়ুন-শহরের এক নামী রেস্তোরাঁর খাবারের পাতে মিলল আরশোলা, ঘটনায় উত্তপ্ত এলাকা

advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মোবাইলের সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় কওসরকে ৷ আত্মীয়দের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি ৷ আত্মীয়দের কললিস্ট দেখেই ধৃত কওসর ৷ প্রথমদিকে বারুইপুর, সোনারপুরে লুকিয়েছিলেন তিনি ৷ পরে হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালিতেও আশ্রয় নেন ৷ কিছু সময় রাজারহাট, টাকিতেও লুকিয়েছিল কওসর ৷ আত্মীয়দের মাধ্যমেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন ৷ সেইসব কললিস্ট সংগ্রহ করে পুলিশ ৷ অবশেষে হাসনাবাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় কওসরকে ৷

advertisement

কওসরকে আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় বারাকপুর আদালত ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ফুড সেফটি ধারা ২৭২/২৭৩ ও ৫১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
রহস্যে মোড়া কওসর আলি ঢালির নিউটাউনের খামার