দিল্লির টেলিগ্রাফ লেনে ৯বি নম্বর বাড়িটিতে ছিলেন মহুয়া মৈত্র। শুক্রবার সকালেই তা সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়া হয়েছে। ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট (ডিওই)-এর আইনজীবীর হাতে বাংলোর জিনিসপত্রও তুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ডিওই আসার আগেই বাংলো খালি করা হয়েছিল। ফলে উচ্ছেদ করতে হয় মহুয়া মৈত্রকে।
advertisement
আরও পড়ুন: শুরু হবে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট! কবে থেকে? মাথায় হাত আমজনতার
বহিষ্কারের নির্দেশের পরেই সাংসদ হিসাবে মহুয়ার বাসভবন ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে নির্দেশ পাঠায় কেন্দ্রের ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস৷ সেই নোটিসের বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন মহুয়া৷ সেই মামলারই শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার৷ শুনানি শেষে বিচারপতি গিরীশ কাঠপালিয়া জানান, সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে বলে সরকারি আবাসস্থলে বসবাসের মেয়াদবৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনও নিয়ম উল্লিখিত নেই৷ বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, সরকারি বাসববনে আবেদনকারীর (মহুয়ার) থাকার অধিকার নেই৷ এই কথা বলে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার কথা জানায় আদালত৷
আরও পড়ুন: ভারতীয় রেলওয়ের ৫৯৭ স্টেশনে ‘সুগম্য ভারত অভিযান’, মিলবে দুরন্ত সুবিধা! কী জানুন
আগামী ২৪ জানুয়ারি মামলার ফের শুনানি৷ গত বছর লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পরে মহুয়াকে সরকারি বাংলো খালি করতে বলা হয়েছিল। সংসদ সদস্য হিসাবে বাড়িটি তাঁকে বরাদ্দ করা হয়েছিল৷ কিন্তু, এখন যেহেতু তিনি আর ওই পদে নেই, তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে তাঁকে উচ্ছেদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার বাংলো খালি করার নোটিস পান মহুয়া৷ এবার সেই বাংলোই ছেড়ে দিলেন বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র৷