এবার অনেকটা এরকমই সমস্যার মুখোমুখি হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র৷ এক্স হ্যান্ডেলে সুইগি-কে ট্যাগ করে করা একটি পোস্টে কৃষ্ণনগরের সাংসদ অভিযোগ করেছেন, অর্ডার করার পর তাঁর কাছে এসে পৌঁছনো সব আইসক্রিমই গলা অবস্থায় ছিল এবং খাওয়ার অযোগ্য৷
আরও পড়ুন: শুধু সইফ নয়, টার্গেট শাহরুখও! একই হামলাকারী রেইকি করে ‘মন্নত’-এও, চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিশের
advertisement
মহুয়ার এই টুইটার পোস্ট ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে৷ অনলাইনে খাবার অর্ডার করার পর এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় বলে মহুয়ার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন অনেকে৷ আবার এই সমস্যার জন্য সুইগি-র অ্যাপে অভিযোগ না জানিয়ে কেন মহুয়া বিষয়টি সমাজমাধ্যমে বিষয়টি জানাচ্ছেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ৷ একজন আবার খোঁচা দিয়ে মহুয়াকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, ‘দামি আইসক্রিম, সিবিআই চলে আসবে৷’ এর জবাবে মহুয়া আবার নিজের দামি ব্যাগের বিতর্কের কথা মনে করিয়ে মজা করে জবাব দিয়েছেন৷
জবাবে মহুয়া জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি সুইগি অ্যাপ-এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেখানে সুরাহা না হওয়ার কারণেই সুইগি-কে ট্যাগ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করছেন তিনি৷ মহুয়ার এই পোস্টে অবশ্য জবাব দেয় সুইগি৷ সংস্থার পক্ষ থেকে মহুয়ার কাছ থেকে অর্ডার নম্বর চেয়ে নেয় সুইগি৷
সুইগি-কে জবাব দিতে গিয়ে মহুয়া যে স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে ১২২০ টাকা দিয়ে দশটি জিনিস অর্ডার করেন তিনি৷
কেন তিনি বিষয়টি সমাজমাধ্যমে হঠাৎ দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন, তা নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন তাঁদেরও জবাব দিয়েছেন মহুয়া৷ তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন, ‘একজন সাংসদ মানে এই নয় যে আমি একজন সাধারণ মানুষের মতো অনলাইনে খাবার অর্ডার করি না৷ জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষ নয়, এই মনোভাব ছেড়ে এবার বেরিয়ে আসুন৷ আবার আপনারাই অভিযোগ করেন যে জনপ্রতিনিধিরা নেতাদের মতো আচরণ করছেন৷ যদিও সুইগি মহুয়ার অভিযোগের সুরাহা করতে পেরেছে কি না, তা জানা যায়নি৷’
তবে সুইগির পক্ষ থেকে এক্স মাধ্যমেই মহুয়াকে উদ্দেশ করে লেখা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁকে ফোন করা হলেও তৃণমূল সাংসদ ফোন ধরেননি৷ ফলে সুইগির পক্ষ থেকে মহুয়াকে একটি ই মেল করা হয়৷ মহুয়ার সুবিধা মতো সেই ই মেলের জবাব দিতে অনুরোধ করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে৷