পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন কারখানায় ধৃতদের সঙ্গে আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিল। মূল অভিযুক্ত কারখানার মালিক শাহেনসাসহ অন্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ইসলামপুরের ছোঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা নাবালক, পরিবারের দাবি অনুযায়ী, মিথ্যা মোবাইল চুরির অভিযোগে তাঁকে দড়ি দিয়ে উল্টো করে ঝুলিয়ে মারধর করা হয় এবং শরীরে কারেন্টের শক দেওয়া হয় ।
advertisement
রবীন্দ্রনগর থানার একটি বিশেষ তদন্তকারী দল ইতিমধ্যেই ইসলামপুর রওনা দিয়েছে । পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বহু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে । একজন দাবি করেছে, মারধরের পর নাবালক কারখানা থেকে পালিয়ে যায়, অপরজন জানিয়েছে, তাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়—তবে কোন জায়গায়, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেনি ।
পুলিশের পক্ষ থেকে ধৃতদের ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানানো হবে বলে সূত্রের খবর । ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইসলামপুর ও কলকাতা—উভয় এলাকাতেই । নাবালকের খোঁজে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ ও তার পরিবার । রবীন্দ্রনগরে নাবালকের খোঁজে একটানা তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ । এলাকায় যাবতীয় সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করতে আইসির নেতৃত্বে থানার একটি দল বুধবার সকালে যায় কারখানা সংলগ্ন এলাকায় । ২৮ তারিখের ঘটনার পর থেকে নাবালককে কি পাড়া থেকে বের করা হয়েছিল? বের করা হলেও, কে বা কারা তার সঙ্গে ছিল ? এই সমস্ত প্রশ্নেরই এখন উত্তর খুঁজছে পুলিশ ।