মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, এই বিতর্কে মোট ৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ওই ৯ জনকেই সতর্কতামূলক চিঠি দিয়েছে পর্ষদ।
আরও পড়ুন- নিয়োগের দাবিতে পথনাটিকা,অভিনব উপায় প্রতিবাদ উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের
এর মধ্যে, মাধ্যমিকের ইতিহাস শিক্ষকদের নিয়ে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি রয়েছে, তাঁদের ছ'জনকেও পর্ষদ চিঠি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে মালদহ রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষককে।
advertisement
মালদহের স্কুলটির পাশাপাশি আরও দুটো স্কুলের প্রশ্নে ধরা পড়েছিল আজাদ কাশ্মীরের উল্লেখ। ওই দুই স্কুলের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদেরও সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে পর্ষদ। পর্ষদের আইন অনুযায়ী, এই সতর্কবার্তামূলক চিঠির কথা উল্লেখ থাকবে শিক্ষকদের সার্ভিস বুকে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে আগামী দিনে অবসরের পরে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পেতেন, তাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। পর্ষদ জানিয়েছে, সমস্ত আইন মেনেই ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে ওই পদক্ষেপ করেছে পর্ষদ।
আরও পড়ুন- ভারতের এক নম্বর ব্যাটসম্যান নিজের বন্ধুর সঙ্গেই দিয়ে দিলেন বোনের বিয়ে!
গত মঙ্গলবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের টেস্ট পেপার রিভিউ করেন পর্ষদের আধিকারিকরা। তারপরেই আরও দুই স্কুলের ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে আজাদ কাশ্মীরের উল্লেখের বিষয়টি নজরে আসে।
মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারে ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে 'আজাদ কাশ্মীর'-এর উল্লেখ ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। সংশোধনী বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজাদ কাশ্মীরের বদলে 'কাশ্মীর' শব্দটি ব্যবহার করা হবে। ওই স্কুলগুলির তরফে কেন এই ধরনের প্রশ্নপত্র তৈরি করা হল, তা জানতে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ কয়েকজনকে শোকজ করতে চলেছে পর্ষদ।
তবে গোটা বিষয়টি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নজর এড়িয়ে গেল কী করে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? কোনও বিষয়ে টেস্ট পেপারে কী ধরনের প্রশ্নপত্র রাখা হবে, তার জন্য বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি আছে পর্ষদের। এক্ষেত্রে ইতিহাসেরও বিশেষজ্ঞ কমিটি ছিল। তাঁদের নজর এড়িয়ে এই প্রশ্ন কীভাবে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি বলেন, "আমরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আমরা আজ সন্ধ্যেবেলার মধ্যেই গোটা বিষয়টি রেক্টিফাই করে আমাদের সব ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিচ্ছি। আমাদের টেস্ট পেপার ১০০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিলি হয়ে গিয়েছে। যাঁরা বিষয় নিয়ে বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, তাঁদের মতামত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যারা প্রশ্নটি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। আজ সন্ধ্যেবেলার মধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে আমরা ওয়েবসাইটে যাবতীয় ব্যাখ্যা দিয়ে দেব’’ বললেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।