বাবা কমল নস্কর জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল জানার পরে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন মা। তারপরেই ছেলেকে পড়াশোনার জন্য হস্টেলে রেখে আসার ভয় দেখান। পরিবারের দাবি, এর থেকে বেশি কিছু ঘটেনি। সবই স্বাভাবিক ছিল,বিকেলে ৩টের পরে বাবাই মাকে কম্পিউটার ক্লাসে যাচ্ছে বলে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকে রাত পর্যন্ত তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়ি খোঁজার পর,কমল নস্কর এবং তাঁর পরিবার ৩ মে পঞ্চসায়র থানায় একটি নিখোঁজের ডাইরি করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত রোদে বেরতে হয়? হিট স্ট্রোকের লক্ষণ জানেন? প্রতিরোধের উপায় দিলেন চিকিৎসক
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পঞ্চসায়র থানার পুলিশ। বাবাইয়ের ছবি দিয়ে শুরু হয় খোঁজ। মোবাইল ফোন না থাকায় পুলিশের পক্ষে তাঁকে খোঁজা প্রাথমিক অবস্থায় বেশ কঠিন ছিল। ৪ মে কমল নস্কর যখন পঞ্চসায়র থানায় বসেছিলেন সেই সময় হঠাৎ করেই তাঁর মোবাইল বেজে ওঠে। ফোনের ওপার থেকে একজন হিন্দিভাষী তাঁকে মুম্বই রেলওয়ে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ফোন করেন এবং ছেলের খোঁজ দেন। প্রথমটায় এমন ফোন পেয়ে বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলেন কমল নস্কর, থানার এক অফিসারকে ফোনটি ধরিয়ে দেন। এরপর জানা যায়, মা হস্টেলে পাঠিয়ে দেবে সেই ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে।
পুলিশ জানতে পেরেছে, বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে হাওড়া স্ট্রেশন, সেখান থেকে মুম্বই মেল ধরে সোজা মুম্বই স্টেশনে গিয়ে পৌঁছয়। সেখানেই কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা বাবাইকে ইতিউতি উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখেন। সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে জিআরপি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বসিয়ে কথাবার্তা বলে জানতে পারেন বাড়ি থেকে পালিয়ে ,মুম্বই পৌঁছেছে সে। তারপরই মুম্বই থেকে পুলিশ যায় কমল নস্করের কাছে। ৫ মে দুপুরে ট্রেন ধরে ছেলেকে ফেরত আনতে যান কমল নস্কর। তিনি বলেন, “কয়েকদিনের মানসিক চাপ অনেকটাই লাঘব হয়েছে। থানায় বসেই ভিডিও কলে ছেলের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে কেন এই কাজ করল? ওর সঙ্গে সামনাসামনি কথা না বললে বলতে পারব না।’