এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এদিন বলেন, 'নাফিসা আলি, লাকি আলি ও রেমো ফার্নেন্ডেজ যোগাযোগ করেছেন তৃণমূলের সঙ্গে। আরও অনেকে আসবেন। আমরা চাইব ছোট আঞ্চলিক দল না থেকে তারা আমাদের কাছে চলে আসুক। গোয়াতে মমতা বন্দোপাধ্যায় যাচ্ছেন। সেখানে আলোচনা হবে।' আর ২৮ অক্টোবর গোয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের সময়ই অনেক চমক থাকতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইতিমধ্যেই বিজেপি, কংগ্রেসের চিন্তা আরও বাড়িয়ে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধতে আগ্রাহী গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি (Goa Forward Party)৷ ইতিমধ্যেই গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির নেতাদের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: জয়ের গন্ধ গোয়ায়, পাহাড় থেকে ফিরেই চমকের সফর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের!
দলের প্রচারে গোয়ায় অনেকদিন ধরেই রয়েছেন ডেরেক। তিনি লাকি এবং নাফিসার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরই তাঁদের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। নাফিসাও নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ইদানীং বারংবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা ও বিজেপির সমালোচনা করে চলেছেন। কলকাতায় জন্ম হওয়া নাফিসার দক্ষিণ কলকাতা থেকে ভোটে লড়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে তিনি কংগ্রেস পার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এই আসনে। বিপক্ষে ছিলেন স্বয়ং মমতা। সেই নাফিসাই এখন ‘বাঘিনী’ বলে সম্বোধন করেছেন মমতাকে। ফলে জল্পনা আরও দানা বাঁধছে। গোয়ার আরও বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে খবর৷ শেষ পর্যন্ত গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গে জোট হলে গোয়ার নির্বাচনে (Goa Assembly Polls) তৃণমূলও যে বিজেপি, কংগ্রেসের আরও বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷
আরও পড়ুন: মমতা পা দেওয়ার আগেই বড় খবর, গোয়ায় এই দলের সঙ্গে জোট বাঁধতে পারে তৃণমূল
২০১৭ সালের গোয়ার বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস জিতেছিল ১৭টি আসনে। বিজেপি জিতেছিল মাত্র ১৩টি আসনে। যদিও রাজনৈতিক পালাবদলের পরে, বিজেপি গোয়ায় সরকার গঠন করে। আর বাংলা দখলের পর এবার গোটা দেশ জুড়ে বিজেপির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মুখ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সূত্রে গোয়াকে টার্গেট করেছে তাঁরা। আর সেই বিষয়টি আরও বেগ পেতে পারে মমতার সফরের সময়ই।