প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে হুগলি কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের রত্না দে নাগকে প্রায় ৭৩ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন লকেট। যদিও ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের নিরিখে লকেটের কেন্দ্রে প্রায় ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। লকেটের পাশাপাশি বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি তথা হুগলি লোকসভার আহ্বায়ক সুবীর নাগ বা হুগলির প্রাক্তন সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের নামও উঠে আসছিল প্রার্থী হিসেবে জল্পনায়। কিন্তু এদিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই দেখা গেল শেষ বাজি জিতলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ই।
advertisement
আরও পড়ুন: দেব-হিরণ মুখোমুখি লড়াই? ঘাটালের রণাঙ্গনে হাইভোল্টেজ ভোটযুদ্ধ যেন শুরু আজ থেকেই
যদিও হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লকেটের নাম ঘোষণার পরই কটাক্ষ করেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি বলেন, এর আগেও তিনি সাংসদ ছিলেন। কিন্তু তাকে পাঁচ বছর এলাকায় দেখা যায়নি। আর এবারও তাকে প্রার্থী করা হয়েছে। তাকে ৪ লক্ষ ভোটে হারাব। উল্লেখ্য বর্তমানে এই লোকসভায় সাতটি বিধানসভা তৃনমূলের দখলে রয়েছে। পাশাপাশি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে চুঁচুড়া কেন্দ্রে তৃণমূলের অসিত মজুমদারের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন লকেট।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় বিশাল চমক, কাঁথিতে প্রার্থী শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু
অন্যদিকে, গত পাঁচ বছরে নিজের সাংসদ পদের জন্য যতটা আলোচিত হয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, তার চেয়ে অনেক বেশি আলোচনায় উঠে এসেছে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক। সাংসদের প্রাক্তন স্ত্রী, বর্তমানে তৃণমূলের নেত্রী সুজাতা মণ্ডলের সঙ্গে সৌমিত্রর সংঘাত, বিবাহ বিচ্ছেদের পর দিনকয়েক আগেই ফের দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানান সাংসদ নিজেই। সেই তাঁকে নিয়েও বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ ছিল বলেই দলের একাংশের বক্তব্য। মাঝে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্বও বেড়েছিল সৌমিত্র খাঁ, এমনটাই গুঞ্জন। তবে, শেষমেশ বাজিমাত করলেন সৌমিত্রই।