প্রয়াত প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে (Subrata Mukherjee) শ্রদ্ধা জানাতে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। গতকাল টাউন হলে পুরসভার প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন তা জানিয়েছেন খোদ মেয়র। বালিগঞ্জের একটি রাস্তা হবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামে। এছাড়া তাঁর নামে একটি সংগ্রহশালাও তৈরি হবে। এর জন্য জমি খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।
advertisement
আরও পড়ুন: বিধায়ক হিসেবে পঞ্চাশ বছর পার করেই থামলেন সুব্রত, শুধু রাজনীতির নয়, ক্ষতি অনেক বেশি
একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ তথা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সুহৃদ স্বপন মহাপাত্র জানিয়েছেন, "একডালিয়া আর সুব্রত মুখোপাধ্যায় সমার্থক শব্দ। তাঁকে বাদ দিয়ে একডালিয়া ভাবা যায় না। একডালিয়াতে উনি আসেন ১৯৭১ সালে। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে উনি এখানে থেকেছেন। সুরেন ঠাকুর রোড, গড়িয়াহাট রোড, একডালিয়া রোড জুড়ে তিনি বিভিন্ন সময় থেকেছেন৷ এই রাস্তা বর্তমানে একডালিয়া রোড নামে পরিচিত। যদিও কয়েক বছর আগে এই রাস্তা পি সি সরকারের নামে করা হয়েছিল। এখন পুরসভা দেখুক কোন রাস্তা তারা নামকরণ করবেন। তবে আমরা চাই একডালিয়া রোডের নামকরণ করা হোক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামেই।"
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত একডালিয়া ক্লাব৷
গতকালই টাউন হলে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরদের অধিবেশন ছিল। ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে কাউন্সিলররা নিজেদের ওয়ার্ড সম্পর্কে নানা তথ্য তুলে ধরেন। সকলের কথা শোনার পর মেয়র নিজে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামে বালিগঞ্জে সংগ্রহশালা ও রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুব্রত মুখোপাধ্যায় তখন মেয়র, মমতা ফিরে গেলেন নিজাম প্যালেসের সেই ৩ দিনের ঘটনায়...
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি যেখানে অর্থাৎ ৬৮ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "পুরসভার তরফ থেকে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটা ঠিক যে স্থানীয়রা চাইছেন একডালিয়া রোডের নাম হোক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামে। সমস্ত প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত অন্যান্য রাস্তার নামও বিকল্প হিসেবে ভেবে রাখা হচ্ছে৷ "
অন্যদিকে পুরসভা সূত্রে খবর, শিগগিরই সংগ্রহশালা নির্মাণের কাজ শুরু হবে। টাউন হলের অধিবেশনে এমনই জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সূত্রের খবর, একডালিয়া ক্লাবের আশেপাশেই এই সংগ্ৰহশালা নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার। স্বপন বাবু জানিয়েছেন, "রাজ্য যদি চায় সংগ্রহশালা করার জন্যে আমরা আমাদের ক্লাবের একটা অংশ দিতে পারি। এই ক্লাবের সঙ্গে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের একাধিক স্মৃতি জড়িয়ে আছে৷ তাই এখানে সংগ্রহশালা করতে চাইলে স্বাগত।"