স্থানীয় ক্লাব 'বেলেঘাটা গান্ধী মাঠ ফ্রেন্ডস সার্কেল-এর চিলেকোঠার দু'পাশের দেওয়াল উড়ে যায়। কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। এমনকি চিলেকোঠার ছাদের একাংশ উধাও, ও ফাটল ধরে গেছে। ছাদে কালো দাগ পড়ে রয়েছে এখনও। ক্লাবের সদস্যরা ও কতৃপক্ষরা সবাই দৌড় ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছিল। ওটা যে ছোটোখাটো বিস্ফোরণ নয়, সেটা এলাকার মানুষদের থেকে বেশি টের পেয়ে গিয়েছিলেন ক্লাবের কর্তারা। অভিযোগ, পুলিশ আসার আগে, বাদ বাকি সব কিছু সরিয়ে ফেলেন ক্লাবের বেশ কিছু সদস্যরা।
advertisement
একটি সূত্র বলছে,ওই ক্লাবের তিনতলার চিলেকোঠায় ১০-১২টি সক্রিয় বোমা রাখা ছিল। তার মধ্যে একটি বোমা গত কাল রাত ১২টা নাগাদ ওই এলাকাতেই ফাটানো হয়েছিল। বাকিগুলি গরমে ফেটে গিয়েছে বলে অনুমান।
স্থানীয় প্রোমোটার রাজু নস্করের ক্লাব বলে পরিচিত এটি। অনেকেরই অভিযোগ, এই ক্লাবকে ব্যবহার করে রাজু নস্কর তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থেকে মানুষকে ভয় দেখিয়ে, বোমা মেরে,উচ্ছেদ ও বেআইনি নির্মাণ কাজ চালায়।এলাকার মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে চাযন না। এদিনের ঘটনার পর রাজু নস্করকে এলাকাতে পাওয়া যায়নি।তবে ক্লাব সদস্যদের দাবি, দ'জন মুখ ঢেকে মোটর বাইকে করে এসে বোম মেরে গেছে।এই যুক্তি শোনার পর,স্থানীয়রা মনে মনে বেশ ক্ষুব্ধ। যদি বাইরে থেকে কেউ বোম মারত, তাহলে দেওয়ালের ইট গুলি ভেঙে ভেতরের দিকে পড়ত।এখানে সব বাইরে পড়েছে।চিলেকোঠার ছাদ যে ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে তাতে এটা পরিষ্কার ওই ঘরেই মজুত ছিল বিস্ফোরক।
প্রশ্ন উঠছে, যে ক্লাবের নীচ তলাতে বাচ্চাদের কম্পিউটার শেখানো হয়,সেখানে কি ভাবে তিনতলায় বোম্ব রাখা ছিল? এই বিষয়ে জানতে চাইলে, ক্লাবের তরফ থেকে কেউ সদুত্তর দেননি। ভাগ্য ভালো ঘটনার সময়,ক্লাব বন্ধ ছিল।কেউ হতাহত হয়নি। ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক তদন্তে জানা যায়, বাইরে থেকে নয়, ক্লাবের ভিতরে রাখা বোমাই ফেটেছে।