#কলকাতা: আউটডোর টিকিট না পেয়ে হাজারো মানুষের ভোগান্তি।। সাড়ে ৩ ঘন্টা পর লিংক ফিরল কলকাতা মেডিক্যালে ৷
মঙ্গলবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথালমোলজি (আর আইও) এবং স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন এই দু’টি জায়গার টিকিট কাউন্টার সকাল ন’টায় খোলার কথা থাকলেও কাউন্টার টিকিট দেওয়া শুরু হয় দশটার পর।
advertisement
রাজ্যের মধ্যে এটি আর আইও চোখের চিকিৎসার সবথেকে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান । ফলে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে হাজারের ওপর মানুষ চোখের চিকিৎসার জন্য আসেন এখানে। অন্য দিকে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনেও নিত্যদিন ত্বকের চিকিৎসার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক হাজার মানুষ আসেন। লম্বা লাইন প্রতি দিনকারই চেনা ছবি।
ফলে টিকিট না পেয়ে লম্বা লাইনে তখন উত্তেজনা দেখা দেয়। বহু দূর থেকে এসেছেন মানুষজন। টিকিট পাচ্ছেন না। অসুস্থ রোগীদের নিয়ে চিকিৎসকদের কাছে পৌঁছতে পারছেন না কেউই। সবমিলিয়ে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি। সর্বত্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । কাউন্টারের কর্মীরা বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, কম্পিউটার থেকে টিকিট বের হচ্ছে না। দুই হাসপাতালেরই কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, সার্ভার ডাউন হয়ে যাওয়ার কারণে কোন কম্পিউটার কাজ করছে না এই দু’টি জায়গায় । ফলে কয়েক হাজার মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে চূড়ান্ত ভোগান্তিতে পড়েন। সকাল দশটার পর হাতে লিখে পুরনো লাল কার্ড যেটা আছে সেটাকে টিকেট হিসেবে দেওয়া শুরু হয়। কেন বিভ্রাট সে কারণ অবশ্য জানা যায়নি। তবে সার্ভারের এই সমস্যার কারণে কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হলেন সাতসকালেই।
বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর থেকে ভোর রাতে বেরিয়ে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে আসা সুনীল বরণ মন্ডল বলেন, ‘‘ভোর থেকে লাইনে। সকাল দশটার পর হাতে টিকিট পেয়েছি।’’ একই রকম ভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুদূর বসিরহাট থেকে কাকভোরে ট্রেন ধরে আসা রঞ্জনা মন্ডল জানান, ‘‘সকাল থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছি ৷ প্রথমে জানাল সার্ভারের প্রবলেম। কম্পিউটার কাজ করছে না । সকাল দশটার পর হাতে লেখা টিকিট দিল। এটা আগে থেকে দিলে ভোগান্তি অনেক কম হত।’’
দুপুর সাড়ে ১২টার পর সার্ভার ঠিক হয় দু'জায়গাতেই। শুরু হয় কম্পিউটারাইজড টিকিট দেওয়া। যদিও ততক্ষণে হাজার হাজার রোগীর অবস্থা ল্যাজে গোবরে।