এ দিন সকাল থেকে ওই ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । হাসপাতালের অধ্যক্ষ শৈবাল মুখোপাধ্যায়, হাসপাতাল সুপার-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা মর্গ পরিদর্শন করেন । খতিয়ে দেখেন মর্গের কাগজপত্র । তারপরেই হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, প্রত্যেকটি দেহই ছিল বেওয়ারিশ মৃতদেহ । এঁদের কারও পরিচয় পাওয়া যায়নি । পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করা যায়নি । তাঁদের কারও করোনা সংক্রমণ ছিল না । যার ফলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এই মৃতদেহগুলি কলকাতা পুরসভার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল সৎকারের জন্য ।
advertisement
এরপরেই বিকেলে জরুরি বৈঠক করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে চিঠি দেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে । তাতে বলা হয়েছে, একটি ভুয়ো ভিডিও এনআরএস হাসপাতালের নামে পরিবেশন করা হচ্ছে । প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুক কালকাতা পুলিশ । এ বিষয়ে তদন্তে নেমে লালবাজারের সাইবার সেল জানিয়েছে, ভিডিও সংক্রান্ত সমগ্র তথ্যটিই ছিল মিথ্যা খবর । যে বা যারা এই কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।