আদালত সূত্রে খবর, কাঁথিতে তৃণমূল কর্মী নীলাদ্রি মাইতির মৃত্যু হয় গুলিবিদ্ধ হয়ে। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০ সালে তৃণমূল ও সিপিএমের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনার এফআইআরএ ৬২ জনের নাম ছিল। এফআইআরে লক্ষণ শেঠের নাম ছিল না। কিন্তু ২০১৭ সালে ওই মামলায় চার্জশিটে সিআইডি তদন্তে লক্ষণ শেঠের নাম ছিল।
advertisement
চার্জশিটে ৭৪ জনের নাম ছিল। এই ৭৪ জনের মধ্যে ৪২ ডিসচার্জ করে পুলিশ। ৩১ জন ট্রায়াল ফেস করে। লক্ষণ শেঠের বিরুদ্ধে অভিযোগ, লক্ষণ শেঠ (১২০বি) অপরাধমূলক ষড়যন্তকারী হিসাবে ভূমিকা ছিল। এই মামলায় বিচার হয়েছে। আজ ৩১৩ সিআরপিসি অর্থাৎ সাক্ষীদের বয়ান অনুসারে বিচারক অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসা করবেন যে তাঁর কিছু বলার আছে কিনা। সেই মামলায় আজ এমপি এমএলএ কোর্টে হাজিরা দেন লক্ষণ শেঠ।
অন্য দিকে, নন্দীগ্রামে ২০০৭ সালে ভূমি উচ্ছেদ কমিটির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলা রুজু হয়। তৃণমূল ও সিপিএমের সংঘর্ষে কয়েকজন নিখোঁজ হন। ওই মামলায় সাতজন নিখোঁজ ছিলেন। অপহরণ-সহ খুনের মামলা ছিল। তিনটি আলাদা মামলায় পরবর্তীতে এক সঙ্গে একটি মামলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর সেখানেও ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে (১২০বি ) ভূমিকায় ছিলেন লক্ষণ শেঠ । একজন অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও ইস্যু হয়েছিল। সেই অভিযুক্তর খোঁজ নেই। এই মামলাতেও লক্ষণ শেঠের নাম চার্জশিটে রয়েছে। এই মামলাতেও লক্ষণ শেঠ হাজিরা দেন।
লক্ষণ শেঠের আইনজীবী নজরুল ইসলাম জানান, ‘‘কাঁথি মামলার জন্য আসেন লক্ষণ শেঠ। পাশাপাশি নন্দীগ্রামের মামলাতেও লক্ষণ শেঠ হাজিরা দেন। ” লক্ষণ শেঠ এ দিন জানান, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। কী ভাবে কেস হয়েছে সেটা বুঝুন।’’ লক্ষণ শেঠের অপর আইনজীবী বিমল কুমার মাঝি বলেন , ‘‘কাঁথির একটি খুনের মামলায় চার্জশিটে লক্ষণ শেঠের নাম ছিল। চার্জফ্রেমের সময় ৪২ জনকে রিলিজ করে। ৩১ জন ট্রায়াল ফেস করে। আজ ৩১৩ সিআরপিসি ছিল। লক্ষণ শেঠের হাজিরা, কারণ ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে তাঁকে দেখানো হয়। অন্য দিকে, নন্দীগ্রামে মামলায়ও লক্ষণ শেঠের হাজিরা হয়েছে। ওই মামলায় সাত জন নিখোঁজ ছিলেন। অপহরণ-সহ খুনের মামলা ছিল। “
ARPITA HAZRA
