TRENDING:

Shankha Ghosh Last Rite : পেরিয়ে গেলেন 'ছন্দের বারান্দা', বৈশাখী বিকেলে চিরবিদায় শঙ্খের...

Last Updated:

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার কবিকে শেষ সম্মান জানানো হলেও তাঁর শেষ ইচ্ছে মতোই বাদ রাখা হয় ‘গান স্যালুট’।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
চিরশয্যায় কবি
চিরশয্যায় কবি
advertisement

এক অদ্ভুত রাজনৈতিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক, সর্বোপরি এক 'অসুস্থ' সময় ও পারিপার্শ্ব। আর তারইমধ্যে আশপাশের সমস্ত শব্দকে শুষে নিয়ে স্তব্ধ করে চলে গেলেন কবি শঙ্খ ঘোষ। তাঁর চলে যাওয়ায় যেন আক্ষরিক অর্থেই বাকরুদ্ধ আজ বাংলা। বরাবর শিরদাঁড়া টান টান কবির অন্তিম যাত্রাটুকুও যেন তাঁরই শব্দমালার মত কোলাহল বর্জিত, মার্জিত, পরিশীলিত, আড়ম্বরহীন অথচ দৃঢ়, স্বাতন্ত্রের মহিমায় আপনি উজ্জ্বল এক শেষ যাত্রা।

advertisement

"এই তো জানু পেতে বসেছি পশ্চিম'

আজ বসন্তের শূণ্য হাত!"

বসন্তের হাত শূণ্য। প্রেমের, প্রতিবাদের, মৌন মুখরতার মুহূর্তরা আজ যেন বড্ডো ফ্যাকাসে, দিক-শূণ্য! কারণ তিনিই তো সেই কবি যিনি একদিকে যেমন লিখেছেন "ধ্বংস করে দাও আমাকে যদি চাও আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক..."তেমনই লিখেছেন 'সব সময় কী ভালোই বলবে লোকে? মন্দ কথাও শুনতে হবে কিছু। তাই বলে কী ভেঙে পড়বে শোকে? তাতেই এমন মাথা করবে নিচু?" শব্দের কারুকাজে বাংলা ভাষা শেখানোর পাশাপাশি কবি শঙ্খ ঘোষ শিখিয়েছেন প্রেম, বিপ্লব আর প্রতিবাদের ভাষা।

advertisement

বুধবার বিকেল তিনটে নাগাদ উল্টোডাঙার বাড়ি থেকে কবির দেহ নিয়ে আসা হয়। পথে সল্টলেকে কবির ভাই নিত্যপ্রিয় ঘোষের বাড়িতে কিছুক্ষণ রাখার পর শঙ্খ ঘোষের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিমতলা মহাশ্মশানে। সেখানেই পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ হল কবি শঙ্খ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। বিকেল ৪ টে ২২ মিনিটে বৈদ্যুতিন চুল্লিতে ঢোকানো হয় তাঁর নশ্বর দেহ।

advertisement

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়, যাবতীয় করোনা বিধি মেনে কবির শেষকৃত্য করা হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। তবে কবির শেষবিদায়ের সময় তোপধ্বনি করা হবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার কবিকে শেষ সম্মান জানানো হলেও বাদ রাখা হয় ‘গান স্যালুট’।তোপধ্বনি পছন্দ করতেন না কবি। কবির শেষ ইচ্ছেকে সম্পূর্ণ সম্মান জানিয়ে আড়ম্বরহীন ভাবেই চির বিদায় জানানো হয় তাঁকে।

advertisement

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ কলকাতায় নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। বেশ কয়েক দিন ধরেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই নিভৃতবাসে ছিলেন তিনি। পাশাপাশি, বার্ধক্যজনিত কারণেও শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন কবি। মঙ্গলবার রাত থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। বুধবার সকালে কবিকে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হলেও চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। প্রয়াত হন কবি।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চা বিক্রির টাকায় তিন বছরে ৬৯ হাজার কয়েন! মেয়ের জন্য স্কুটি কিনে চমকে দিলেন বাবা
আরও দেখুন

কবিতার ছত্রে ছত্রে একদিকে জীবন দর্শনের পাঠ পড়িয়েছেন শঙ্খ। অন্যদিকে যেকোনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দঁড়ানোর ভাষাও যুগিয়ে গিয়েছেন আজীবন। তাঁর অস্তিত্ব ছিল বটবৃক্ষের মত বলিষ্ঠ। অথচ তাঁর শীতল ছায়াতেই পিঠ পেতে বসা যেত অনন্তকাল। তাই তাঁর শেষযাত্রা আপনজনের শেষ যাত্রার মতোই পাথর করে দেয়। জড়বস্তুর মত মনে হয় তাঁর অনুরাগীদের। কারণ তিনি তো শুধুই কবি ছিলেন না! কারও কাছে ছিলেন চিরকালীন পথ দেখানোর 'মেন্টর', প্রিয় 'মাস্টারমশাই', কারও কাছে অগ্রজ প্রতীম। তাই তাঁর চলে যাওয়া রেখে যায় শুধুই একরাশ শূন্যতা।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Shankha Ghosh Last Rite : পেরিয়ে গেলেন 'ছন্দের বারান্দা', বৈশাখী বিকেলে চিরবিদায় শঙ্খের...
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল