দশম শ্রেণির ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তার বাবা কসবা থানায় খুনের অভিযোগ করেন। স্কুলের অধ্যক্ষ সহ দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে কসবা থানা। তদন্তে নেমে প্রায় ৪০জনের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। এই তদন্তে খুশি না হয়ে ওই পড়ুয়ার বাবা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় পুলিশ কমিশনারের নজরদারিতে তদন্ত হবে। এরপরই কসবা থানা থেকে সেই মামলা তুলে দেওয়া হয় লালবাজারের হোমিসাইড শাখার হাতে।
advertisement
ইতিমধ্যে হোমিসাইড শাখার কর্তারা এই মামলার সমস্ত নথিপত্র সংগ্রহ করেছে। ছাত্রমৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত করা হয়। করা হয়েছে ভিডিওগ্রাফিও। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন প্রোজেক্ট নিয়ে শিক্ষিকার সঙ্গে ওই পড়ুয়ার মধ্যে সমস্যার সূত্রপাত। এমন কী তার দুই সহপাঠীর সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েছিল ওই পড়ুয়া। তিন জনকেই টিচার্স রুমের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। স্কুলের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় সেই ছবিও ধরা পড়েছে। এমনকি ওই ছাত্রের দুই সহপাঠী ক্লাসরুমে ফিরে গেলেও তাকে ফিরতে দেখা যায়নি। বরং কিছু সময় পর পাঁচ তলার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ওই ছাত্রটিকে দেখা যায়। পায়চারি করতে করতে যেখানে সংস্কারের কাজ চলছে সেখানে ঢুকে যেতে। এরপর উপর থেকে সে পড়ে যায় বলেই খবর।