#কলকাতা: আজ থেকে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শুরু হল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্বাচনের আগে মাস্টার স্ট্রোক ছিল 'স্বাস্থ্য সাথী' (Swasthya Sathi)। আর এ বারে 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' (West Bengal Lakshmi Bhandar Scheme 2021)। সকাল সাতটা থেকে কলকাতা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড অফিসের সামনে লম্বা লাইন। প্রথম লাইন, মহিলাদের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর জন্য। অন্য লাইনটি স্বাস্থ্য সাথী, বার্ধক্য ভাতা, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী ইত্যাদি প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য। সকাল থেকেই সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীরা এসে প্রত্যেকে নিজেরা নিজেদের কাজ বুঝে নেন। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য আলাদা টেবিল ছিল।
advertisement
‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এ নাম নথিভুক্ত হলে জেনারেল ক্যাটাগরিতে মহিলারা পাবেন মাসে ৫০০ টাকা। তপশিলি এবং উপজাতিরা পাবেন মাসে ১০০০ টাকা করে। টাকার পরিমাণ বেশি না হলেও প্রত্যেকটি মহিলার কথায়, মাসিক হাত খরচা বলতে তাঁদের হাতে তেমন কিছু থাকে না। ৫০০ কিংবা ১০০০ টাকা তাঁদের কাছে অনেকটাই। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বার্ধক্য ভাতা নথিভুক্ত করতে আসা এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক বললেন, এর আগের সরকারগুলোর আমলে লাল ফিতের ফাঁস বলে শোনা যেত। প্রকল্প ঘোষণা হত। লাল ফিতের ফাঁসে সব কিছু আটকে যেত। এমনকি দফতরগুলোতে স্বচ্ছতা ছিল না। কোনও কাজ করাতে গেলে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানো এবং উপঢৌকন দিতে হত। মমতা সরকার সেটাকে সম্পূর্ণভাবে মুছে দিয়েছে। এখন বাড়ির সামনে সরকারি অফিস উপস্থিত।সবের উপর স্বচ্ছতা এনেছে রাজ্য সরকার।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এই প্রথম দিনেই দেখা গেল কয়েক হাজার মানুষের লম্বা লাইন। সেখানেও ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এ নাম নথিভুক্ত করতে মহিলাদের বিশাল লাইন। অতিমারিতে মানুষের অর্থের টানাটানি। সেই সময় সরকারি আর্থিক অনুদান প্রত্যেকের কাছে বেশ আশাব্যঞ্জক। ওয়ার্ড কো অর্ডিনেটর, অনিন্দ্য রাউত তিনি বললেন, 'আমরা রাজনৈতিক রঙ দেখি না। এখানে যাঁরা এসেছেন তাঁরা সবাই আমার দলকে ভোট দেন না। তবুও সহকারী সুবিধা থেকে এবং প্রকল্প থেকে কেউ যাতে বাদ না যায় ,সেটা আমরা সব সময় লক্ষ্য রাখি।' মোটের ওপর প্রথমদিনেই সকাল থেকে মানুষের যে পরিমাণে ভিড় ও উৎসাহ দেখা গিয়েছিল, তাতে রাজ্য সরকারের সাফল্য দেখছেন সবাই।