কুণাল বলেন, "তদন্তের স্বার্থে কাকে কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, সেটা তদন্তকারীদের ব্যাপার। ঢাক ঢোল পিটিয়ে তিনি (বনি) যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। পরে আবার থাকতে পারা যায় না বলে বেরিয়ে এসেছেন। বিজেপি করলেও দিলীপ-শুভেন্দুর মতো ডাক পেতেন না। ২০২১ সালে যোগদান করেছিলেন। বিরোধী দলনেতা না হয় গিরগিটি। উনি রাজনীতিকে নিচে নামাচ্ছেন কেন? উনি বলছেন ভোটের সময় অনেকে যায়। ওটা আসলে বিজেপির ব্যাপার। বিজেপিতে কোনও সুস্থ ভাবে থাকা যায় না। বিরোধী দলনেতার ব্যর্থতা যে ধরে রাখতে পারে না। সত্যি সংযোগ থাকলে আইন আইনের পথে চলবে।"
advertisement
প্রসঙ্গত, বনিকে শুক্রবার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু একদিন আগে আজকে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা বেজে ১০ মিনিটে হাল্কা গোলাপি রঙের স্ট্রাইপ কুর্তা পরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন বনি। লাঞ্চ ব্রেকে বের হন বেলা আড়াইটে নাগাদ। তারপরেও বেশ কিছুক্ষণ চলে জিজ্ঞাসাবাদ। ২০১৭ সালে একজন ইভেন্ট অর্গানাইজার হিসাবে বনির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন টেট দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ।
অভিনেতা জানান, সেই অনুষ্ঠান চলাকালীনই তাঁর সঙ্গে প্রথমবার পরিচয় হয় কুন্তলের। তবে সেই সময় তিনি কুন্তল সম্পর্কে কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করেননি। ওই অনুষ্ঠানের পরে একসময় সিনেমায় টাকা নিয়োগ করার ইচ্ছে জানিয়ে তাঁর কাছে আসেন কুন্তল। সেই সময় পূর্ব পরিচিতির বিশ্বাসযোগ্যতা থেকেই তাঁর প্রস্তাবে প্রাথমিক ভাবে রাজি হন তিনি। বনি জানান, সেই সময় কুন্তল তাঁকে গাড়ি কেনার জন্য কিছু টাকাও দেন। পরে অবশ্য বিভিন্ন পুজো উদ্বোধনের মতো ইভেন্টে গিয়ে সেই টাকা পুষিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন, কুন্তলের টাকাতেই কিনেছেন গাড়ি! ED-র দফতর থেকে বেরিয়ে জানালেন বনি সেনগুপ্ত
আরও পড়ুন, স্কুলে সন্তান পাঠিয়েও শান্তি নেই! মহিলা কর্মচারীর কুপ্রস্তাবের মেসেজ, পরে যা হল
এদিন বনি জানান, তাঁর কাছ থেকে ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত কোনও তথ্য চায়নি ইডি। কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল, সেই নথি তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "বনি যদি টাকা নিয়ে থাকেন তাহলে তাকেই ব্যক্তিগতভাবে তার জবাব দিতে হবে। বিজেপি এইসব 'অ্যালাউ' করে না। ভোটের সময় ওরকম অনেক তারকারাই দলে যোগ দেন। ২ মাস ছিলেন বিজেপিতে, এখন আর নেই।"
আবীর ঘোষাল