তবে সংহতি দিবসের মঞ্চ থেকেও বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণই করেন তৃণমূলের নেতৃত্বরা। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সংহতি দিবসের মঞ্চ থেকে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
আরও পড়ুন- সুইজারল্যান্ডকে হাফ ডজন গোল পর্তুগালের, হ্যাটট্রিক করে নতুন নায়ক গঞ্জালো রামোস
কেন্দ্রীয় সরকারের পেট্রোল,ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ানো এবং ব্যাঙ্কের সুদ কমানোকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকারকে জনবিরোধী আখ্যা দেন কুণাল। তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যের সঙ্গে আর্থিক নীতিতে পাল্লা দিতে না পেরে, ধর্মে ধর্মে ভেদাভেদ করছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। আমরা সবাই একে অন্যের ধর্মকে সম্মান করি।’’
advertisement
শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারকেই নয় পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘যারা আগে বিজেপি হঠাও বলতো, তারাই এখন ইডি সিবিআই-এর ভয়ে বিজেপির দরজায়। শয়নে স্বপনে তারা অভিষেক অভিষেক দেখছে। এখন নাকি সনাতনী হিন্দু হয়েছে।’’
শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হিসেবে এখনও পর্যন্ত কনফার্মই হননি বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ। এসবের পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে দলের বার্তা স্পষ্ট করলেন তিনি। বিরোধী কোনও জোট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে ভাবতে চায় না সেই বিষয়টাই বুঝিয়ে দিতে চাইলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর মতে বুথ পিছু ৫১ থেকে ১০০ শতাংশ ভোটের লক্ষ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নামতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাই ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত ভোট যদি বিরোধীরা পায়ও সে ক্ষেত্রে তাদের জোট নিয়ে ভাবতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।