এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অনেকেই। এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কুণাল ঘোষ। তিনি জানান, "বিএসএফের এক অফিসার ও জওয়ানের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ এসেছে। আরও অনেকে জড়িত। ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী মোদি, মহিলাদের সুরক্ষার কথা বলছেন। আর দেখুন কেন্দ্রীয় বাহিনী কি করছে।আমরা বিএসএফের বিরুদ্ধে নই। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু যে উদ্দেশ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এদের ব্যবহার করছে তাতে রক্ষকই ভক্ষক হচ্ছে। এতে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিজেপির কথা শুনতে গিয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: মুড়ির দাম আকাশ ছোঁয়া! এক কিলো মুড়ির দাম জানলে অবাক হবেন! সমস্যায় মানুষ
তিনি এই দিন আরও বলেন, "প্রশ্ন আমাদের, এই জন্যই কি সীমা ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করেছেন? বিভিন্ন সময় বিএসএফের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল। কেন্দ্রকে সেই সমস্যার কথা জানিয়েছে রাজ্য। এর পরেও এই ঘটনা ঘটল। শিশুর সামনে মা ধর্ষিতা হল। এখন তারা কোথায়? কেন কেন্দ্রের তরফে একটা ক্ষমা চাওয়া হল না। যেভাবে বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। যদিও ১৫ আগস্ট গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দিল। যার জন্য বিলকিস বানোকে গ্রাম ছাড়তে হল।।
আবার বলছি রাজ্যের অধিকারে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ এটি। যার কুৎসিত ফল বাগদার ঘটনা।"
তবে এখানেই শেষ নয়। কুণাল ঘোষ আরও বলেন, "যারা যোগ্য ভাল কাজ করেন তাদেরকে তো সীমানা সুরক্ষায় রাখাই হচ্ছে না। তাদের তুলে এনে বিজেপির চার আনা নেতাদের দেহরক্ষী করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দক্ষ জওয়ানদের, বিজেপির দলবদলু নেতাদের পাশে রাখা হয়েছে। বিজেপির মিছিলে অধিকাংশ এই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকেন। ভুল থেকে মানুষ শিক্ষা নেয়। যেমন শীতলকুচিতে মারা গেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে। বিজেপির শাখা সংগঠনের মতো, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর অপপ্রয়োগ হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা হচ্ছে এতে আমরা উদ্বিগ্ন। যে বিএসএফের কাজ পাচার রোখা, সেই বিএসএফ মহিলা ধর্ষণ করছে। কেন তৃণমূলকে আক্রমণ করা হচ্ছে? পাচার রোখার কাজ যাদের। তাদের কাজ হয়েছে ধর্ষণ করা।"
কুণাল ঘোষ আরো বলেন, " আগামীকাল আমরা বাগদায় কর্মসূচী নিয়েছি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বাহিনী এটি। অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী একবার ক্ষমা চান।এর প্রতিবাদে সারা বাংলায় কেন্দ্রীয় শাসকের রাষ্ট্রশক্তি প্রয়োগের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে। বিএসএফকে আমরা সরাতে চাইনি। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এখন বিজেপি সিকিউরিটি ফোর্স হয়েছে। এটা মানতে পারব না আমরা। কৈলাশ বিজয়বর্গী আবার বলে ফেলেছিলেন, অগ্নিপথে আসুন। তারপর দারোয়ানের কাজ করবেন বিজেপি অফিসে৷ বিএসএফ, তাদের কাজ করুক। মানুষ ভালবাসার বদলে, মানুষ ভয় পাচ্ছে।"
ABIR GHOSHAL