১)সবটা না হলেও বন্ধ থেকে ধীরে ধীরে মুখ ফেরাচ্ছে বাঙালি
তৃণমূল আমলে ধর্মঘটের দিন যানবাহনের আয়োজনে ত্রুটি রাখে না সরকার। সঙ্গে থাকে দোকানপাট খোলা রাখলে, পথে গাড়ি নামালে পুলিশি নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস। তা সত্ত্বেও শাস্তির ভয়ে সরকারি কর্মচারীরা ছাড়া বিশেষ কেউ অফিসের দিকে পা বাড়াতেন না এত দিন। শুক্রবারের ধর্মঘট কিছুটা হলেও অন্য ছবি দেখাল। সপ্তাহান্তের ছুটির ঠিক আগের দিন ধর্মঘট। টানা তিন দিন ছুটি পেয়ে দিঘা-মন্দারমণি বা ঝাড়গ্রাম বেড়িয়ে আসার চমৎকার সুযোগ। যেমনটা এর আগে বহু বার হয়েছে। বলাই হতো, শুক্র বা সোমবার ধর্মঘট ডাকলে সফল করাতে তেমন গা ঘামানোর দরকার নেই। কিন্তু এ দিন দেখা গেল, পড়ে পাওয়া সেই ছুটি উপভোগের সংস্কৃতি থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছেন অনেকেই। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি সংস্থার বহু কর্মীও এ দিন কাজ করেছেন যথারীতি।
advertisement
২) ভ্যাটিকান সিটি প্রস্তুত বিশ্বজননীর জন্য, টেরিজার আলোয় উজ্জ্বল কলকাতা
ত বছর বয়সেই বাবাকে হারিয়ে মায়ের কাছে মানুষ হয়েছিল মেয়েটি। পৃথিবীর কোটি কোটি সাধারণ মানুষের ভিড়েই হারিয়ে যেতে পারত সে। কিন্তু সেই অখ্যাত মেয়েটিই ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন বিশ্বজননী! আর আজ ভ্যাটিকান সিটিতে এসে দেখছি, এই শহর-রাষ্ট্র প্রস্তুত সেই বিশ্বজননীর জন্য। ৪ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে মা টেরিজা সন্ত হতে চলেছেন। এন্টালির জোড়া গির্জার বিপরীতে ৫৪এ জগদীশচন্দ্র বসু রোডের ছাইরঙা চারতলা বাড়িটা থেকে টাইবার নদী-তীরে রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্মের এই কেন্দ্রে সন্ত হয়ে ওঠার কাহিনি যেন স্বপ্নের মতো। মনে হচ্ছে, কলকাতা যেন আজ এই গথিক স্থাপত্যের শহরে এই ক্যাননাইজেশন বা সন্তায়নের কাহিনির মধ্যে দিয়ে নতুন করে আত্মপ্রকাশ করছে। যার সাক্ষী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর প্রতিনিধিদল।
৩) স্কুলেই সিঙ্গুর পড়াতে চান পার্থ, শুরু বিতর্কও
পলাশির যুদ্ধ, সিপাহি বিদ্রোহের বৃত্তান্ত ঐতিহাসিক কারণেই ছাত্রপাঠ্য হয়ে উঠেছে। তেভাগার কৃষক আন্দোলনও ঠাঁই করে নিয়েছে পাঠ্যক্রমে। এ বার পশ্চিমবঙ্গের স্কুল-পাঠ্যক্রম পেতে চলেছে এক নতুন আন্দোলনের গল্প। সিঙ্গুরের কৃষক আন্দোলন।সিঙ্গুরে কৃষকদের জমি ফেরতের জয়গাথা স্কুলপাঠ্যের অন্তর্গত করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, সিঙ্গুরের আন্দোলন যুগান্তকারী। আদালতের রায়ে তা ইতিহাসের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। বিভিন্ন জ্ঞানী, গুণিজন শিক্ষা দফতরকে প্রস্তাব দিয়েছেন, এমন এক ঐতিহাসিক ঘটনাকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। যাতে পড়ুয়ারা কৃষকদের জমি আন্দোলনের এই লড়াইয়ের কথা জানতে পারে। ‘‘শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিষয়টি যাতে স্কুলের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়, সেই জন্য ওই প্রস্তাব সিলেবাস কমিটির কাছে পাঠানো হবে,’’ বলেন পার্থবাবু।
৪) গোল-সহ প্রত্যাবর্তন মেসির, বড় প্লেয়ারের ইগো আরও ভয়ঙ্কর করে তুলবে
লেখার শুরুটা একটা ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে করার লোভ সামলাতে পারছি না। রাশিয়া বিশ্বকাপে লিওনেল মেসিকে নিয়ে একটা ভবিষ্যদ্বাণী।
মন বলছে, রাশিয়ায় আমরা মারাত্মক এক লিও মেসিকে দেখতে চলেছি!
আমাদের, প্লেয়ারদের জীবনে ইগোটা খুব বড় হয়। প্লেয়াররা যখন প্রবল ঝড়ঝাপটার মধ্যে পড়ে, চতুর্দিক থেকে সে যখন সমালোচনা-সমালোচনায় এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যেতে থাকে, অনেক সময় সে রাগে-দুঃখে-হতাশা-অভিমানে তাৎক্ষণিক নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। অবশ্যই সে সব সিদ্ধান্তে আবেগ থাকে বেশি। মেসির ক্ষেত্রেও মনে হয়, ব্যাপারটা ও রকমই ছিল। তিন-তিনটে মেগা টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেও দেশকে ট্রফি না দিতে পারার যন্ত্রণা, চার দিকের সমালোচনা আর সহ্য না করতে পেরে অবসর নিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু ওই যে বললাম, প্লেয়ারের ইগো। অবসর ভেঙে ফিরে এসে মেসি যে একটা ওলটপালটের চেষ্টা করবে, আন্দাজ করেছিলাম। কিন্তু এতটা ভয়ঙ্কর ওকে দেখাবে, ভাবতে পারিনি।
১) জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেল তৃণমূল
জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস৷শুক্রবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে দেওয়া হল এই স্বীকৃতি৷ অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল যে জাতীয় দলের তকমা পেতে চলেছিল, সে ইঙ্গিত কয়েকদিন আগেই দিয়ে রেখেছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাওয়া ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
২) স্কুলপাঠ্যে আসতে চলেছে সিঙ্গুর অধ্যায়!
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর যুদ্ধজয়ের হাসি হেসেছেন সিঙ্গুরবাসী৷ সুপ্রিম কোর্টের নজিরবিহীন রায়ে নতুন করে প্রাণ ফিরেছে ঝিমিয়ে পড়া সিঙ্গুরে৷ আর তাই এই ঐতিহাসিক জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার৷ শিক্ষা দফতরের তরফে এই বিষয়টিকে স্কুল সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছাপ্রকাশ করা হল৷ শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, সিলেবাস কমিটিকে লিখিতভাবে আবেদন জানানো হয়েছে৷
৩) বনধের ‘ফ্লপ শো’, সরকারি অফিসে উপস্থিতির হার ৯০%
বামপন্থী সংগঠনগুলির ডাকে শুক্রবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে শ্রমিক ধর্মঘট৷ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বনধের সমর্থনে রেল অবরোধ, মিছিল এবং আন্দোলন জারি থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাটা কিন্তু অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় একটু অন্যরকম৷ শহরের সর্বত্রই জনজীবন একেবারে স্বাভাবিক৷ বনধ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনওভাবেই কর্মনাশা বনধকে সমর্থন করা হবে না৷ পাশাপাশি রাজ্যের মানুষ যাতে বনধকে উপেক্ষা করে কাজে যোগ দেন, সেই আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই ডাকে সাড়া দিয়ে আর পাঁচটা দিনের মতো পথে বেরলেন সাধারণ মানুষ৷ বনধকে উপেক্ষা করে প্রতিদিনের মতো কাজে যোগ দিলেন তাঁরা৷ সরকারি সূত্র অনুযায়ী, রাজ্য সরকারি অফিসগুলিতে এদিন উপস্থিতির হার প্রায় ৯০ শতাংশ৷ এদিন সাধারণ কর্মচারীদের পাশাপাশি, কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যরাও অফিসে উপস্থিত হয়েছেন৷ যাঁরা বনধের সমর্থনে মানুষকে আহ্বান করেছিলেন, তাঁরা নিজেরাই বনধের দিন অফিসে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷
৪) জাইকা মহামারীর আকার নিতে পারে ভারতেও!
ব্রাজিলের পর এবং ভারতে থাবা বসাতে চলেছে জাইকা, এমনটাই মনে করছেন গবেষকরা৷ সম্প্রতি, এই অসুখের ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে একটি আলোচনায় জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২.৬ বিলিয়ন মানুষ জাইকা ভাইরাসে আক্রান্ত৷ চলতি বছরেই ব্রাজিলে এই ভাইরাস ঘোরতর প্রভাব ফেলেছে৷ যদিও ১৯৪৭ সালে প্রথম এই ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছিলেন গবেষকরা, তবু এই ভাইরাস যে এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে, সেই সম্পর্কে বিশেষ ভাবে অবগত ছিলেন না তাঁরা৷ কিন্তু চলতি বছরে ব্রাজিলে জাইকার প্রভাবে গোটা পৃথিবীজুড়ে যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়, তারপরেই নড়েচড়ে বসেন গবেষকরা৷