এর আগে খাগড়াগড়কাণ্ডের চার্জশিটেও এই আশঙ্কা করেছিল NIA ৷ JMB-র অন্যতম সদস্য কওসর ওরফে বোমা মিজান অধরা ৷ অধরা হাতকাটা নাসিরউল্লা, ইউসুফ-সহ কয়েকজনও ৷ সূত্রের খবর, এরা পঃবঙ্গে ফের সংগঠন তৈরির চেষ্টা করছে ৷
IS-এর প্রধানরা এদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করবে ৷ অস্তিত্ব প্রমাণে বার্তাও দিতে পারে তারা, দাবি NIA-এর ৷ এদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে NIA ৷
advertisement
ইতিমধ্যেই এরাজ্যে ধৃত IS সদস্য আশিক আহমেদ ৷ বর্তমানে তিহার জেলে আছে আশিক ৷ তাকে পূর্ব ভারতে IS মডিউলের প্রধান করার কথা ছিল ৷ মডিউলের প্রধান করার নির্দেশ আসে সিরিয়া থেকে বলে জানা গিয়েছে ৷ পেট্রোল পাম্প, তারকেশ্বর মন্দিরে বিস্ফোরণের ছক ছিল ৷ আশিককে জেরায় তা জানতে পারেন তদন্তকারীরা ৷ তার মতো অন্য যুবকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করবে IS ৷ এমনই আশঙ্কা করছেন এনআইএ কর্তারা ৷
আগেই এ নিয়ে NIA সদর দফতরে রিপোর্ট পাঠানো হয় ৷ কলকাতা-সহ বেশকিছু জায়গায় গোপন নজরদারি চালাচ্ছে NIA ৷
তুরস্কের বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলার পরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আটোসাটো করা হয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দরে। যা খানিকটা থিতিয়ে যেতেই ফের জঙ্গি হানার ঘটনা। এবার দোরগোড়া ঢাকায়।
এনআইএ-র আশঙ্কা, বাংলাদেশ থেকে এরাজ্য হয়ে জঙ্গিরা ভারতে ঢুকতে পারে। তাই কলকাতার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়ানোর হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে। ঈদ উপলক্ষে আগেই কয়েক দিন আগেই উত্তর চব্বিশ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্ত ও বসিরহাটে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে বিএসএফ। ঢাকায় বিস্ফোরণের পর যা আরও কঠোর করা হয়েছে। নজরদারি কঠোর করা হয়েছে সুন্দরবনের জলসীমান্তেও।
গুলসনের মত ঘটনা এ রাজ্যে যাতে না হয় তার জন্য ইতিমধ্যে তৎপর NIA। অবিলম্বে নিম্নআদালতের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। চোরাপথে কোনও জঙ্গি যাতে এদেশে না ঢুকতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর রয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় BSF-এর সঙ্গে যৌথভাবে নজরদারি চালাচ্ছে NIA। এর পাশাপাশি ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নজরদারী চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।