সারা রাত কাজ করেও গোটা শহরে ভেঙে পড়া গাছ পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি পুরসভা কর্মীদের পক্ষে ৷ শিয়ালদহ, উল্টোডাঙা, বেলেঘাটায় এখনও ভাঙা গাছের ডালপালা, কাটা অংশ রাস্তা থেকে সরানোর কাজ চলছে ৷ একইসঙ্গে মল্লিকবাজার, ফুলবাগান, কাঁকুড়গাছি এলাকাতেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গাছ চলানোর কাজ চলছে ৷
পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গোটা শহর জুড়ে গতকাল এত গাছ ভেঙে পড়েছে যে তা এক রাতে সরানো সম্ভব নয় ৷ যানজট এড়ানোর জন্য পুরসভা কর্মীরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি যেমন এজেসি বোস রোড, সি আর অ্যাভিনিউ ক্রসিং, ভিআইপি, হেস্টিংস সরণী থেকে ভাঙা গাছপালা সরানোর কাজ আগে শুরু করেন ৷
advertisement
অফিসযাত্রীরা যাতে কোনওরকম অসুবিধায় না পড়েন তার জন্য শহরের বড় বড় রাস্তাগুলি সকালের মধ্যে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে ৷ শহরের বাকি রাস্তাগুলিও খুব তাড়াতাড়ি পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন পুরসভা কর্মীরা ৷
অন্যদিকে, বেশ কিছু জায়গায় গাছ পড়ে ভেঙে গিয়েছে রাস্তার সিগন্যাল, ল্যাম্পপোস্ট, বিদ্যুতের তার ৷ বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে তড়িতবাহী হয়ে যায় রাস্তার পাশের রেলিং ৷ দুর্ঘটনা এড়াতে কাজ শুরু করেছে CESC এবং পুরসভা ৷ বেলেঘাটায় এখনও উপড়ে পড়ে আছে ল্যাম্পপোস্ট ৷ C R অ্যাভিনিউতে গাছ পড়ে সিগন্যাল বিকল ৷ C R অ্যাভিনিউয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সিগন্যাল ভাঙায় বেলা বাড়লে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে ৷
ভারী বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া ৷ তাতেই শহর জুড়ে সবুজের মড়ক ৷ গাছ ভেঙে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে মারা যান এক মহিলা সহ তিনজন ৷ বেলেঘাটার সরকার পাড়া এলাকায় গাছ চাপা পড়ে মারা যান এক ব্যক্তি ৷ মৃতের নাম অমর মুখোপাধ্যায় ৷ যাদবপুর অঞ্চলে গাছ ভেঙে মাথায় পড়ে মধুমিতা হেমব্রম নামে এক মহিলা ও এক পথচারীর মৃত্যু হয় ৷ এছাড়া গাছ ভেঙে আহত হয়েছেন আরও ৬ জন পথচারী ৷ এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷
এরই মধ্যে অল্পের জন্য বুধবার প্রাণে বেঁচেছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ৷ অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় গাড়ির মাথায় গাছ পড়ার বিপদ থেকে একটুর জন্য বাঁচলেন মেয়র ৷ তাঁর গাড়ির দশ ফিট আগেই ভেঙে পড়ে একটি বড় গাছ ৷ তিনি নিজে জানিয়েছেন, সঠিক সময়ে ব্রেক মেরে গাড়িটি না দাঁড়ালে তার গাড়ির মাথায় পড়ত গাছটি ৷