বিরোধীদের তোপ মুখ্যমন্ত্রীর ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সরকার তো শিক্ষক নিয়োগের জন্য বসে আছে ৷ কয়েকজন নেতা তো আদালতে মামলা করেছে ৷ একদিকে মামলা করে আর অন্যদিকে চেঁচায় ৷ চেঁচায় এই বলে যে কেন শিক্ষক নিয়োগ হয় না ৷ মামলা তুলে নিন কালই দেখবেন নিয়োগ হয়ে গিয়েছে৷ ’
রাজ্য সরকার প্রস্তুত। আইনি জট কাটলেই রাজ্যে প্রায় ৬৫ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ হবে। শুক্রবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। আর এদিন শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির গলাতেও দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের পক্ষেই সওয়াল। শুক্রবার আদালতে টেট মামলার শুনানিতে বিচারপতির মন্তব্য,
advertisement
প্রাথমিকে শিক্ষার মান পড়ে যাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রয়োজন। মামলার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সবপক্ষই।
প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগ নিয়ে গত বছর কেন্দ্রের অনুমতি চায় রাজ্য। কেন্দ্র এবছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ায়। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর, প্রশিক্ষণহীনদের যাতে নতুন করে সময় না দেওয়া হয়, সেজন্য আদালতে মামলা হয়। শুক্রবার হাইকোর্টে অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল লক্ষ্মী গুপ্ত আরও একবার নিয়োগ-নীতি নিয়ে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
২০১৫-এ টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সবার আগে চাকরি দেবে সরকার। এরপর শূন্যপদ থাকলে প্রশিক্ষণহীনদের চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে ভাবা হবে। নথি অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১৯ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী রয়েছেন। ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য।
যদিও, মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, ভুল তথ্য দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
এদিন শুনানি শেষে মামলাকারীকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সঠিক সংখ্যা জানিয়ে হলফনামা দিতে বলে আদালত। ৩১ অগাস্ট টেট মামলায় রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট।