রোম, জার্মানি হয়ে কলকাতায় ফিরেই সিঙ্গুরের জমি ফেরত প্রক্রিয়ার কাজ কতদূর এগিয়েছে সেই নিয়ে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ সফরের থাকাকালীন প্রতিদিনই শাসকদলের কোনও না কোনও মন্ত্রী সমীক্ষার কাজের তদারকিতে সিঙ্গুর গিয়েছিলেন ৷ সমস্ত কাজ খুঁটিয়ে দেখার পর রিপোর্ট জমা দেন এদিন ৷ একইসঙ্গে হাইপাওয়ার কমিটিও নিজের রিপোর্ট জমা দেন ৷
advertisement
দশ দিনের সমীক্ষার কাজে খুশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ‘৬২০ একর জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ ৷ যা কাজ হয়েছে তা সন্তোষজনক ৷ পরশু ৬২০ একর জমি চাষীদের ফেরৎ দেওয়া হবে ৷ সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনেই সমস্ত কাজ হচ্ছে ৷’
সিঙ্গুর উৎসবের মঞ্চ থেকেই নতুনভাবে শুরু করবে সিঙ্গুর ৷ শুধু জমি নয়, ক্ষতিপূরণের চেকও সেদিনই চাষীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৷ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে আপ্লুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘১৪ তারিখ মাটির জয়, মানুষের জয় অনুষ্ঠান হবে ৷ প্রায় ৮০০ চেক তৈরি হয়ে গেছে ৷ সেখানেই কৃষকদের চেক ফেরৎ দেওয়া হবে ৷ ৯১১৭ টি জমির দলিল ও পড়চাও তুলে দেওয়া হবে চাষীদের হাতে ৷’
সিঙ্গুরের জমিতে ফের শিল্পের সম্ভাবনা, আশা জাগাল সরকারি নির্দেশ
শুধু জমি ফেরত দিয়েই শেষ হচ্ছে না কাজ ৷ মুখ্যমন্ত্রী আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সিঙ্গুরের চাষীদের জীবনের মূলস্রোতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সমস্ত সাহায্য করবে সরকার ৷ সেই মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ঘোষণা করেন, ‘জমির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত চাল দেবে সরকার ৷ নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার টাকা সরকারি অনুদানও দেওয়া হবে সিঙ্গুরের চাষীদের ৷ সিঙ্গুরের জমি চাষযোগ্য করতে প্যাকেজ দেবে রাজ্য সরকার ৷’
তবে ১৪ তারিখ সিঙ্গুরে কোনও প্রশাসনিক বৈঠক করবেন না বলে এদিন নবান্নে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বৈঠকের জন্য অন্য কোনও দিন নির্ধারিত করা হবে ৷
সিঙ্গুরে এখন অনিচ্ছুকদের মুখে ভিন্ন সুর, জমি নয় শিল্প চাই
রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র, টাটাদের সিঙ্গুরের জমি থেকে প্রস্তাবিত ন্যানো কারখানার শেড সরানোর অনুরোধ করবেন বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ একইসঙ্গে আশ্বাস দেন টাটা কোনও উদ্যোগ না নিলে, দু’একদিনের মধ্যে সরকার নিজেই শেড ভেঙে দেবে ৷