খিদিরপুর ট্রাম লাইনের বিলুপ্তির বিষয়ে কলকাতা পুলিশকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে।রাজ্যের আইনজীবী তালে মাসুদ সিদ্দিকি জানান, ”রাজ্য, কলকাতা পুলিশ- সহ অন্যান্যদের নিয়ে গঠিত কমিটিকে জানিয়েছি যাতে অন্তত একটা রুট, ‘ময়দান থেকে খিদিরপুর’ রুটে পিপিপি মডেলে ট্রাম চালানো যায়। প্রধান বিচারপতির প্রস্তাব মতো, যদি কোনও বেসরকারি সংস্থা যুক্ত হতে চায়, তাদেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। আলিপুর অঞ্চলে ট্রাম লাইন বোজানোর অভিযোগ এসেছিল । সেখানে দীর্ঘদিন, প্রায় ১৫-২০ ধরে ট্রাম চলাচল বন্ধ ছিল। তবে কারা লাইন বোজানোর চেষ্টা করছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে । পরিবহণ দফতর বলছে, তারা এখনও জানে না কারা এই কাজটি করেছে। কারণ পরিবহণ দফতর এইরকম কোনও নির্দেশ দেয়নি।” আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি বৈঠকে বসবে, সেখানে ট্রামলাইন বুজানোর বিষয়ে আলোচনা হবে। সেই রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।
advertisement
অবিলম্বে কলকাতায় ট্রামলাইন বুজিয়ে ফেলার কাজ বন্ধ করতে হবে। গত মাসেই এই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ট্রামলাইন বুজিয়ে ফেলার বিষয়ে ছবি-সহ রিপোর্ট রাজ্যকে জমা করতে হবে আদালতে। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যকেই ট্রাম বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল ” ট্রাম রাজ্যের ঐতিহ্য। তা তুলে দেওয়া খুব সহজ কাজ। কিন্তু রাজ্যকেই ট্রাম বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে।”
শহরের রাস্তায় ট্রাম ফিরিয়ে আনার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল একটি নাগরিক সংগঠন। তারা অভিযোগ করেছিল, রাস্তায় যাতে ট্রাম চলতে না পারে, তাই কালীঘাট, ভবানীপুর, জাজেস কোর্ট, খিদিরপুরে ট্রামলাইন পিচ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। গত মাসেই সেই লাইন বুজিয়ে ফেলার কাজ অবিলম্বে বন্ধ করতে বলে হাই কোর্ট।