পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ওসি সৌভিক চক্রবর্তী দ্রুত তাঁকে বাস থেকে নামিয়ে পথচলতি একটি ট্যাক্সির সাহায্যে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। বৃদ্ধার সঙ্গে পাঠানো হয় সার্জেন্ট শান্তু পাল এবং একজন মহিলা হোমগার্ডকেও, যাতে করে হাসপাতালে জরুরি অবস্থায় পর্যাপ্ত সহায়তা দেওয়া যায় ওই অসুস্থ ভদ্রমহিলাকে। একই সঙ্গে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্ট্র্যান্ড রোড থেকে মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত এম.জি. রোডে ‘গ্রিন করিডর’ তৈরি করা হয়। এবং কর্তৃপক্ষকে আগাম জানানো হয়, যাতে তাঁরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসার প্রস্তুতি নিতে পারেন।
advertisement
রোগীর আত্মীয়দেরও দ্রুত হাসপাতালে ডাকার ব্যবস্থা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। হাসপাতালে পৌঁছনোর পর চিকিৎসকের সঙ্গে সমন্বয় করে মহিলাকে সিপিআর-৩ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল এবং ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ডাক্তার ও রোগীর আত্মীয়রা ট্রাফিক পুলিশের এই দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।
তাঁদের মতে, ওসি সৌভিক চক্রবর্তী ও তাঁর দলের তৎপরতার ফলেই এই সংকটময় মুহূর্তে রোগীর প্রাণ রক্ষা সম্ভব হয়েছে।আজ পুলিশ ডে। আজকের দিনে এই ঘটনা আলাদা মাত্রা পেল। তবে পুলিশ ডে বলেই নয়। ওসি ট্রাফিকের এই দায়বদ্ধতা প্রমাণ করল পুলিশ শুধু আইনের রক্ষকই নন পুলিশ মানবিকও৷ এই ঘটনা আরও একবার কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের দায়বদ্ধতা ও জনসেবায় নিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।