সুশান্ত বাবুর বক্তব্য, 'বহু দরিদ্র পরিবার রয়েছেন যাঁরা পুজোর সময় ঠিকঠাক খেতেও পান না, সারাবছর তাঁরা আধপেটা খেয়ে চালান। পুজোর কটা দিন ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ওয়ার্ডে ৫০০ জনকে মাংস তরকারি ভাত খাওয়াব। তবে অষ্টমী পুজোর দিন নিরামিষ তরকারি ভাত পাবে সবাই।' বেলা বারোটার সময় দেখা গেল প্রচুর মানুষ আগ্রহ সহকারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন খাবার নেওয়ার জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার ঠাকুর দেখুন সাইকেল চড়ে, অভিনব ব্যবস্থা করল এনকেডিএ
কমিউনিটি হলের পেছনে বেশ বড় একটা হেঁসেল তৈরি করেছেন। গিয়ে দেখা গেল মুরগীর মাংস, ডাল, তরকারী ভাত রান্না হচ্ছে।তবে প্রত্যেকটি খাবারের গুণ মান বজায় রেখে । পুজোর সময় যে সব যুবকেরা ভোর বেলা থেকে আনন্দ ভুলে কাজ করছেন,তাদের অদম্য পরিশ্রম চোখে পড়ার মতো ছিল। অন্য দিকে দেখা গেল বেশ কিছু যুবক সেই খাবার গুলিকে ফয়েল প্যাকেটে ভর্তি করছে। সাহায্য নেওয়া সকলেই একটা কথাই বলছেন, সুশান্ত ঘোষ ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে রয়েছেন। অনেকে বলেন, উনি হলেন বাড়ির ছেলে। লাইনে দাঁড়ানো, মলিন পোশাকে কয়েক জনকে দেখা গেল, খাবার নেওয়ার জন্য উদগ্রীব অপেক্ষায়। সবাই খাবার পাচ্ছেন,' মমতাময়ী ক্যান্টিন 'থেকে। এই ক্যান্টিন থেকে খাবার নিতে গেলে কোন টাকা লাগছে না। মায়ের পুজোতে সবাই সুস্থভাবে খুশিতে থাকুক, বলছিলেন,সুশান্ত ঘোষ। তবে তিনি সঙ্গে এটাও বলতে ভুললেন না যে, 'এসব কিছু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই করছি।'