পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি স্লিপার, একটি চশমা এবং একটি খালি দেশি মদের বোতল উদ্ধার করে, যা সনৎ হালদারের বলেই ধারনা পুলিশের। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আনন্দপুর থানায়। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে সনৎ হালদার সার্ভে পার্কে থানা এলাকার বাসিন্দা। সোমবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরিবারের তরফ থেকে পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয় সোমবার রাতেই। সার্ভে পার্ক এবং আনন্দপুর থানার পুলিশ আধিকারিকেরা সোমবার রাত থেকেই নিখোঁজ সনৎ হালদারের সন্ধান চালাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ আনন্দপুর জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন খালে দেহ ভেসে উঠতে দেখে এলাকাবাসী। খবর দেওয়া হয় আনন্দপুর থানায়।
advertisement
আনন্দপুর থানার পুলিশ আধিকারিক, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী-সহ কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে ডুবুড়ি এনে উদ্ধার করা হয় মৃতদেহ। পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে মৃত সনদ হালদার পেশায় রিকশাচালক ছিলেন। গতকাল সন্ধায় সার্ভে পার্ক এলাকায় রিক্সা স্ট্যান্ডে হঠাৎই নিজের রিকশা ফেলে উধাও হয়ে যান তিনি। অন্য আর এক রিকশাচালক পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ পরিবারের সদস্যরা পুলিশের দ্বারস্থ হলে পুলিশ এবং পরিবার, উভয়েই তাঁর খোঁজ শুরু করে। পরিবারের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যাতেই সার্ভে পার্ক এলাকার রিক্সা স্ট্যান্ড সংলগ্ন জায়গা থেকে সনদ হালদারের এক পাটি জুতো পাওয়া যায়। অন্য আর এক পাটি জুতো উদ্ধার হয়েছে খালের পাশ থেকে। দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে, গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ।