চতুর্থ বার ওই ঘরে ঢুকে যাওয়ার পর আর বের হয়নি।তারপর কীভাবে পড়ল সে! সেটা কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারছেন না তদন্তকারীরা। ওই ছাত্রের দেহ ময়নাতদন্ত হয়েছে। ময়নাতদন্তে তার মাথার খুলির হাড় থেকে আরম্ভ করে হাত-পা পাঁজর এমনকি পায়ের পাতার হাড় পর্যন্ত ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পদ্মার ইলিশ ভুলে যাবেন, সবচেয়ে সুস্বাদু ইলিশ কোথায় মেলে জানেন? জানলে চমকে উঠবেন
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ময়নাতদন্তের ডাক্তারদের ধারণা অনুযায়ী, উপর থেকে পড়েই মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার। মৃত্যুর কারণ কি আত্মহত্যা?নাকি পড়ে গিয়ে মৃত্যু? সেটা নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়েছে। ছয় তলা থেকে নিচে যেখানে পড়েছিল, সেখানে এক তলার এয়ারকন্ডিশনের আউটডোরের ইউনিটটা দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। এমনকি ভেতরে ফ্যানটা পর্যন্ত বেঁকে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে প্রথমে ওই ইউনিটটার ওপর পড়েছিল ছাত্রটি। যে কারণে শরীরের হাড়গোড় ভাঙলেও দেহে রক্তপাত সে রকম ভাবে হয়নি।
আরও পড়ুন: ২ অক্টোবর নিয়ে ফের দিল্লি পুলিশকে চিঠি তৃণমূলের! ‘না’-এর পর ফের অনুমতির আবেদন
দুই একজন প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশকে জানিয়েছেন, ছাদের ওই নির্মীয়মাণ ঘরের ৮ ইঞ্চি ফাঁকা গ্রিলের মধ্যে দিয়ে ছাত্রটি বাইরে বেরিয়ে কার্নিশে বসে পা ঝুলিয়ে দোল খেয়েছিল। তারপর তারা জানেন না। খুব সম্ভবত আত্মহত্যা করতে গিয়েও সম্ভবত পিছপা হচ্ছিল। হয়ত সেই চিন্তা করতে করতে পড়ে গিয়েছে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। তবে ওই পড়ুয়ার বাবার অভিযোগ অনুযায়ী, পুলিশ খুনের মামলার তদন্ত শুরু করেছে। সেই অনুযায়ী, স্কুলের প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল সহ মোট ন’জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে স্কুলের যে গাফিলতি ছিল, সেটা বারবার পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।