এরপর একপ্রকার বাধ্য হয়েই ডিসচার্জ এগেনস্ট মেডিকেল এডভাইস বা ডামা দিয়ে তাঁরা রোগীকে নিয়ে যাযন। তাদের আরো অভিযোগ ছিল, হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্স থেকে ওয়ার্ড বয়, কেউ স্বীকার করেনি, এমনকি হাসপাতাল থেকে বারবার করে বলা হয়েছে এগুলো কোন রকম বেড সোর নয়। আর রোগীর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে কোনরকম পরিচর্যা না করায় বেডসোর হয়ে গেছিল রোগীর।
advertisement
এরপরই রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে রোগীর পরিবার। দুপক্ষকেই শুনানিতে ডাকা হয়। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনমতেই প্রথম থেকে স্বীকার করতে চায়নি, তাদের গাফিলতিতেই রোগীর বেডসোর হয়েছে। পরবর্তীকালে যখন চিকিৎসার সমস্ত কাগজ চাওয়া হয়, সেখানে দেখা যায়, রোগী ভর্তি হওয়ার সাত দিনের মাথায় প্রথম একজন কর্তব্যরত নার্স তার ডিউটি হ্যান্ডওভার করার সময় রোগীর বেডের পাশে এডভাইসে লিখে যান, আরতিদেবীর বেডসোর -এর লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে আরো দুই দফায় বেডসোর-এর কথা বেডসাইড টিকিটে উল্লেখ পাওয়া যায়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় কখনই উল্লেখ করেনি যে এই রোগীর বেডসোর হয়েছিল। এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন অবিলম্বে রোগী পরিবারকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।