সাংসদ শমীক জানতে চেয়েছিলেন, কলকাতা বন্দরের মালিকানাধীন কয়েক হাজার একর জমি কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, কতটা জমি জবরদখল হয়ে রয়েছে, জবরদখলকারীর সংখ্যা কত, বন্দরের বার্ষিক আয় কী রকম? জবাবে জাহাজ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘শুল্ক আবদ্ধ এলাকা’য় ৪২১ একর জমি ব্যবহৃত হচ্ছে। তার বাইরের এলাকায় রয়েছে ৪,১২২ একর জমি। আর ১৭০.৪ একর জমি জবরদখল হয়ে রয়েছে বলে শমীকের প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়েছে। জবরদখলকারীদের সংখ্যা ৭০৬। শমীকের কথায়, ‘‘বাম জমানা থেকেই কলকাতা বন্দরের বিপুল পরিমাণ জমি জবরদখলকারীদের কব্জায়। সে সরকারও জবরদখল হটাতে কোনও পদক্ষেপ করেনি। তৃণমূলের সরকারও কোনও পদক্ষেপ করছে না।’’
advertisement
জমি বেদখল হওয়া নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বন্দরের জমিতে যে মানুষজনেরা থাকেন তাঁরা ৫০ বছর, ১০০ বছর ধরে রয়েছেন। এখন ওরা যদি এসপেক্ট করেন যে এগুলো ভ্যাকেট করবেন সেগুলো করা যায় না। আমাদের ইরিগেশনের জমিতেও অনেক লোকজন রয়েছে। গরিব মানুষ যেখানে আস্তানা পেয়েছে সেখানেই থেকেছে। আমরা তো বন্দর কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম নর্থপোর্ট থানা এলাকায় কোনো একটা জায়গা দিন। যেখানে আমরা বাংলার বাড়ি তৈরি করিয়ে দিয়ে সেখানে তাদেরকে শিফট করিয়ে দেওয়া হবে। যাতে এই জমিগুলো তারা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু হঠাৎ আপনার ঘুম ভাঙলে তো আমার কিছু করার নেই। এই সময় ঘুম ভাঙার কারণ নতুন জাহাজ মন্ত্রী হয়েছেন বাংলার শ্রমিকদের ওখানে মারছেন। আর এখানে যাঁরা বন্দর এলাকায় রয়েছেন, বেশিরভাগই অন্য প্রদেশ থেকে কোনও না কোনও সময় এসেছেন। তাদের এখানে অরাজকতা সৃষ্টি করা।’