বিরোধীদের দাবি এবং রাজ্যপালের পরামর্শ সত্ত্বেও পুর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার না করারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ পুর নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরও ব্যবহার করা হবে না৷
আরও পড়ুন: গা জোয়ারি করে ভোট নয়, দলীয় প্রার্থীদের কড়া বার্তা তৃণমূলের
কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী হবে, তা নিয়ে কয়েকদিন আগেই রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়৷ সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের পুরভোটের নিরাপত্তার জন্য মোট ৩২ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে৷ তার মধ্যে ২৭ হাজার পুলিশকর্মী থাকবেন কলকাতা পুলিশের৷ বাকি পাঁচ হাজার পুলিশকর্মীকে নেওয়া হবে রাজ্য পুলিশ থেকে৷
advertisement
আরও পড়ুন: মনোনয়ন প্রত্যাহার দুই প্রার্থীর, কলকাতার দুই ওয়ার্ডে লড়তেই পারবে না বিজেপি!
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে যে ধাঁচে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছিল, এবারেও সেই একই ভাবে নিরাপত্তার আয়োজন করা হবে৷ আগের বারের মতোই এবারেও কোনও বুথেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা হবে না৷
যদিও প্রথম থেকেই পুরভোটের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হয়েছিল বিরোধীরা৷ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও পুরভোট নিয়ে দু' বার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে একই পরামর্শ দিয়েছিলেন৷ তবে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহারের সম্ভাবনা যে ক্ষীণ, তা আকারে ইঙ্গিতে আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিল কমিশন ও রাজ্য সরকার৷
