রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি দেবব্রত সাহা বলেন, আমরা চাই পুলিশ অবিলম্বে জালিয়াত চক্রকে খুঁজে বের করুক। যেভাবে প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পড়ে মোটা টাকার বিনিময়ে একশ্রেণীর অসাধু চক্র শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের বিপথে পরিচালিত করছে তা যথেষ্ট উদ্বেগের। যোগ্য মেধার ভিত্তিতেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তা সত্বেও একশ্রেণীর যুবক-যুবতীরা প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।''
advertisement
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম মামলা কি ভিন রাজ্যে? মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথে সব নজর ১৫ নভেম্বরের দিকে
শিক্ষক সংগঠনের কথায়, 'আমরা দাবি জানাচ্ছি, শীঘ্রই পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওঠা জালিয়াত চক্রকে খুঁজে বের করে আইনি পদক্ষেপ করুক। সরকার কখনই জালিয়াতদের প্রশ্রয় দেয় না'। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কয়েকদিন আগেই জালিয়াত চক্রের পর্দাফাঁস হয়। জাল কললেটার নিয়ে দফতরে হাজির হন ১৩ জন চাকরি প্রার্থী। যাচাই করতেই প্রকাশ্যে আসে জালিয়াতি। ধরা পড়তেই পগাড়পার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ঘটনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের দফতর বালিগঞ্জে।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে যোগ দেওয়ার অফার ছিল BJP-র, দিত পদ্মশ্রীও! বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
গত সোমবার সেখানেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির পর্দাফাঁস হয়। সেদিন দফতরে পৌঁছন ২০১৪ সালের ১৩ জন টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থী। ১৩ প্রার্থীরই হাতে কাউন্সেলিংয়ের কললেটার। ইমেল মারফত পাওয়া সেই কল লেটার নিয়ে সকাল থেকেই প্রত্যেকে হাজির হন বালিগঞ্জের জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ অফিসে। এরপরই সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখে সংসদ জানিয়ে দেয়, এটি ভুয়ো কললেটার। কে বা কারা এই ধরনের কাজ করল তার তদন্তের আর্জি জানিয়ে এরপর গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যানের তরফে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। যে ইমেল আইডি থেকে ভুয়ো কাউন্সেলিংয়ের চিঠি পাঠানো হয় সে ব্যাপারেও তথ্য পেতে সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।