গড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে হঠাৎ করেই অক্সিজেন ঘাটতি দেখা দেয়। রিফিল স্টেশনে যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য সময়মতো এসে পৌঁছায়নি অক্সিজেন সিলিন্ডার। এদিকে হাসপাতালে অক্সিজেনের দরকার ৭৩ জন কোভিড রোগীর। হাসপাতালের কাছে মাত্র দু'ঘণ্টার অক্সিজেন সাপোর্ট ছিল। এই অবস্থায় ঘটনার কথা জানতে পারে কলকাতা পুলিশ। তখন রাত সাড়ে ন'টা। খবর পেয়েই কাজে লেগে পড়েন একাধিক টিম ও কলকাতা পুলিশ হাসপাতাল। বিভিন্ন অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থা, কলকাতা পুলিশ হাসপাতাল এবং শিল্পজাত অক্সিজেন প্রস্তুতকারক সংস্থা লিন্ড-এর কাছ থেকে আমরা দ্রুত জোগাড় করা হয় মোট ৭২টি সিলিন্ডার।
advertisement
রাত এগারোটার মধ্যে সবকটি সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া হয় হাসপাতালে, যার ফলে প্রাণরক্ষা হয় ৭৩ জন মানুষের, আর কিছুক্ষণ দেরি হলেই ঘটে যেতে পারত বিপত্তি। স্বস্তির কথা, রিফিল স্টেশনে আটকে থাকা ৭২টি অক্সিজেন সিলিন্ডারও গভীর রাতে এসে পৌঁছয় সেই হাসপাতালে। এই খবর আজ নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ অর্থাৎ ফেসবুকে জানায় কলকাতা পুলিশ। তাঁদের এই কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বহু মানুষ। কলকাতা পুলিশ ট্যাগে ব্যবহার করেছে 'পাশে আছি সাধ্যমতো।' এই বিপদের সময়ে ৭৩ জন রোগীর প্রাণ বাঁচিয়ে সত্যিই নজির গড়ল কলকাতা পুলিশ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে বেড থেকে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিচ্ছে। এই অবস্থায় একজন মানুষের প্রাণ বাঁচানোও কঠিন কাজ। সেই পরিস্থিতিতে এত দ্রুত অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া সত্যিই প্রশংসনীয়।