তদন্তে সাহায্য করতেই তিনি লালবাজারে হাজিরা দেবেন বলে জানিয়েছেন মীনাক্ষী৷ যদিও এখনও তিনি পুলিশের তলবের নোটিস হাতে পাননি বলে দাবি করেছেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী৷
গত বুধবার রাতে কলকাতা জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির মধ্যেই আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব চালায় একদল উন্মত্ত জনতা৷ ঘটনার দিন আরজি কর হাসপাতালের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিলেন মীনাক্ষী সহ বাম ছাত্র যুব নেতৃত্বের বেশ কয়েকজন৷ আরজি করে হামলাকারীদের খুঁজতে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে যে সমস্ত ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে, সেখানেও ডিওয়াইএফআই-এর পতাকা হাতে বেশ কয়েকজনকে দেখা গিয়েছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘আরজি করে যেতে আর ভাল লাগে না!’ শেষ দিকে কেন বলত মেয়ে, প্রশ্ন নির্যাতিতার মায়ের
কলকাতা পুলিশের তলব সম্পর্কে মীনাক্ষী বলেন, ‘এই ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দিতে, আরজি করের দুর্নীতি চক্র বন্ধ করতে যে তদন্ত হবে তাতে সাহায্য করতে সবসময় তৈরি৷ জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে নিশ্চয়ই যাবো তবে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে৷যে পুলিশ দেহ লোপাট করে দিতে পারে, আরজি করে ভাঙচুর আটকাতে পারে না, বাঁচার জন্য নার্সদের কাছে গিয়ে বলে চুড়িদার দিন, সেই পুলিশকে বিশ্বাস করব কী করে?’
আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর এবং হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিরিশ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ৷ বাকিদেরও খোঁজ চলছে৷ যদিও গতকাল কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল অবশ্য দাবি করেন, হাসপাতালে হামলা হলেও চিকিৎসককে খুন, ধর্ষণের ঘটনায় কোনও প্রমাণ লোপাট হয়নি৷ হামলা আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশের ব্যর্থতাও কার্যত স্বীকার করে নেন নগরপাল৷