একদিকে যেমন অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে ও তথ্য যাচাই করতে জোর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বৈধ নথি নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিক যারা শহরে আসছেন তাদের চিহ্নিত করে তথ্য অনুসন্ধানে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে আরও সক্রিয় হতে বলেছেন। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছেন অনেকেকেই। তাদের একাংশের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে নানা কৌশলে এখানে রয়ে গিয়েছেন, এই তথ্যও সামনে এসেছে। তাই তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বার্লিনের প্রাসাদে গোপনে বিয়ে সারলেন মহুয়া মৈত্র, পাত্র পুরীর প্রাক্তন সাংসদ!
আবার পাসপোর্ট ও আধার তৈরির ক্ষেত্রেও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গত বছর মাঝামাঝি থেকে শহরে পাসপোর্ট জালিয়াতি সামনে আসে। ভুয়ো নথি জমা দিয়ে পাসপোর্ট বানিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন ভারতে, ধরপাকড় হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কোথা থেকে এই নথি তৈরি হচ্ছে? এখানেই পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা দাবি করেছেন, পাসপোর্ট কেলেঙ্কারি নিয়ে আমরা পদক্ষেপ করেছি। বর্তমানে ভেরিফিকেশন করার ক্ষেত্রে আরও কড়া নজর রাখা হচ্ছে। নথি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় জেলা প্রশাসনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
কলকাতা পুলিশের সমস্ত থানা ও সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের যারা পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের জন্য পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ, আধার কার্ড, জন্মের সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশন করতে হবে। যেখান থেকে এই নথি ইস্যু হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে হবে এই নথি আসল কি না? এখানেও শেষ নয়, আধারে উল্লেখিত ঠিকানায় অফিসার পৌঁছে গ্রাহকের উপস্থিতি খোঁজ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়ে পুলিশ কমিশনারের তরফে।
Amit Sarkar