উত্তরে রজত রায় জানান, অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি আছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে কর্তৃপক্ষের তরফে যদি কোনও ত্রুটি থাকে, সেগুলো দেখা হবে। যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরার নজরদারি আছে কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে ডিনের কাছে। তিনি জানান, নানা সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও হস্টেলে ছাত্রদের শক্তির মুখে অনেক উদ্যোগ নিতে তাঁকে বাধা পেতে হয়েছে।
advertisement
হস্টেল পরিচালনায় সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন রজত। তাঁর কাছ থেকে তদন্তকারীরা ঘটনার রাতের বর্ণনা জানতে চান। ডিন কী ভাবে ওই দিনের ঘটনার কথা জেনেছিলেন, কে তাঁকে ফোন করেছিলেন, কতটুকু তিনি রাতে জেনেছিলেন, সব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘ওই রাতে মৃত পড়ুয়া…’, যাদবপুরের প্রাথমিক রিপোর্টে ‘র্যাগিং’-র ইঙ্গিত, তদন্তে বিস্ফোরক মোড়
আরও পড়ুনঃ ‘চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্তৃপক্ষ’, যাদবপুরের রিপোর্ট নিয়ে বিস্ফোরক রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন
ডিন দাবি করেন, ৯ অগাস্ট অর্থাৎ ঘটনার দিন রাত ১০:০৫ মিনিটে তাঁর কাছে একটা ফোন আসে, সেই সময় একজন ছাত্রকে পলিটিসাইজ করার কথা বলা হয়। ১০:০৮ মিনিটে হস্টেল সুপারকে ওই ফোন নম্বর দিয়ে তিনি খোঁজ নিতে বলেছিলেন। কিন্তু সেই সময় কোনও রিপ্লাই তাঁর কাছে আসেনি। এরপর রাত ১২:০৮ মিনিটে সুপার তাঁকে ফোন করেন। সেই গভীর রাতে তিনি দুর্ঘটনার কথা জানতে পারেন।
এ দিন দুপুর সোয়া তিনটে নাগাদ লালবাজারে পৌঁছন ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়। প্রায় ঘণ্টা তিনেক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে যান। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে ফের ডিন অফ স্টুডেন্টসকে তলব করা হতে পারে। হস্টেল সুপারকে ডাকা হতে পারে।
অমিত সরকার