সূত্রের খবর, কসবা ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট সৌভিক বিশ্বাস অভিযোগ দায়ের করেন যে, ডিপিএস জুনিয়র রুবি পার্কের কাছে WB 05C 1317 নম্বরের একটি স্কুটি আটক করা হয়, যা যাচাই করে দেখা যায় ভুয়ো নম্বর প্লেট লাগানো। প্রকৃত গাড়িটি অন্য এক ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত ছিল।
এর আগেই, একই নম্বরের মালিক রঞ্জন দত্ত ইমেল করে পুলিশকে জানান যে, তিনি এমন কয়েকটি প্রসিকিউশন মেসেজ পাচ্ছেন, যেখানে তিনি কখনও যাননি।
advertisement
আরও পড়ুন: দেড় দশকের পরে আবার শুরু! চলতি মাসেই কলকাতা থেকে মিলবে লন্ডনের উড়ান
তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে মঙ্গল নস্কর নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ওই স্কুটি ও ভুয়ো নম্বর প্লেট সরবরাহ করেছিল পরমেন্দ্র প্রসাদ কেশরী। পরে পরমেন্দ্রর তথ্যের ভিত্তিতে পিকনিক গার্ডেন রোডের বিক্রম শ’ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়, যার দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ নকল নম্বর প্লেট উদ্ধার হয়।
এরপর বিক্রমের দেখানো পথে পুলিশ মুল্লিকবাজারের ১৩, ম্যাকলিয়ড স্ট্রিটে তল্লাশি চালিয়ে নাম্বার প্লেট তৈরির মেশিন এবং পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের জাল নাম্বার প্লেট উদ্ধার করে। সেখানে থেকে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে— শেখ নিয়াজউদ্দিন, মীর সাহেনুল আখতার, মীর ফারুক আলি, সামির আলি এবং সলমন খান।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা কোনও বৈধ অনুমোদন ছাড়াই গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ভুয়ো নম্বর প্লেট তৈরি করত। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।