এর পরই পুলিশের পক্ষ থেকে বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগ আনে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ৷ ট্রাফিক গার্ডের হেড কোয়ার্টারের একজন কর্তব্যরত সার্জেন্ট সেনাবাহিনীর ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ করেন৷ পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৮১ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে মামলাও করেছে হেয়ার স্ট্রিট থানা৷
advertisement
আরও পড়ুন: কেন খোলা হল তৃণমূলের মঞ্চ? মমতার বিস্ফোরক অভিযোগের পর পাল্টা বিবৃতি সেনার
গতকাল মেয়ো রোডে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তৃণমূলের মঞ্চ খুলে দেওয়ার পর এ দিনের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ায়৷ বিধানসভায় তুলকালাম কাণ্ড ঘটে৷ বিজেপির পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীকে হেনস্থা এবং অপমানের অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা৷
সেনাবাহিনীর ট্রাককে আটক করার ঘটনা নিয়ে বিতর্ক ছড়াতেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে কলকাতা পুলিশ৷ সেখানে দাবি করা হয়েছে, ট্রাকটি (সেনাবাহিনীর) বিপজ্জনকভাবে চালানো হচ্ছিল এবং ট্রাফিক লেনের নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছিল। অন্য একটি গাড়ি (নগরপালের গাড়ি) চালকের তৎপরতার কারণে অল্পের জন্য একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। এটি স্পষ্টতই ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা এবং দোষী চালকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। জনসাধারণকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে, অযাচাইকৃত তথ্য দ্বারা বিভ্রান্ত হবেন না, সরকারি সূত্র থেকে প্রকাশিত সঠিক তথ্যের উপর নির্ভর করুন।
এ দিন সেনাবাহিনীর ওই ট্রাকটি পুলিশ আটক করার পর রাজপথেও একপ্রস্ত নাটক হয়৷ পুলিশ প্রথমে ট্রাকটিকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে৷ কিন্তু কিছুটা এগিয়ে ধর্মতলার ডেকার্স লেনের সামন ট্রাক দাঁড় করিয়ে দেন সেনাবাহিনীর চালক এবং তাঁর সঙ্গে থাকা আধিকারিক৷ তাঁরা জানিয়ে দেন, ফোর্ট উইলিয়াম থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ না এলে ট্রাক কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে না৷ বেশ কিছুক্ষণ টালবাহানার পর সেনা আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন৷ এর পর অবশ্য সেনা কর্তাদের সঙ্গে ট্রাকটিকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, ট্রাক আসতেই চলছিল৷ নগরপালের গাড়িই দ্রুত গতিতে আসছিল৷